মুন্সিগঞ্জ, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারনে তিনি উপস্থিত হননি।
পরে তার অনুপস্থিতে সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।
সভায় উপজেলার নেতারা সাংগঠনিক বিভিন্ন সাংগঠনিক দূর্বলতা নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে। সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে সভা শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫ টায়।
বর্ধিত সভার সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত না হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সভার সভাপতিত্ব করেন।
বর্ধিত সভার কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও সভায় উপস্থিত বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছে ‘আমার বিক্রমপুর’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সভায় মুন্সিগঞ্জ সদর, গজারিয়া উপজেলা ও মিরকাদিম পৌরসভা কমিটির সম্মেলনগুলো করার ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের সাথে পরামর্শ করে নিতে জেলা আওয়ামী লীগ কে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভুতু হালদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাকে ঐ পদ থেকে সরিয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে টংগিবাড়ী উপজেলা শাখার পরবর্তী সহ সভাপতিকে দায়িত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মির্জা আজম। জবাবে টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভুতু হালদার বলেন ‘আপনার সিদ্ধান্তই শিরোধার্য’
সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রথমে স্থগিত ও পরবর্তীতে প্রথম অধিবেশন পর্যন্ত পরিচালনার অনুমতি দিলেও সেটা উপেক্ষা করে কমিটি ঘোষনা করে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মির্জা আজম বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা জানান।
শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি ওয়ার্ডে সম্মেলন ছাড়া কমিটি দেয়ায় সেগুলো বাতিল করা হয়। এবং শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের সাথে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরোধ নিরসনে প্রয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫সদস্যের কমিটি করে তার সাথে দেখা করে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মির্জা আজম বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা জানান।