মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় আসলাম শেখের (৪৫) লাশ নিয়ে স্বজনরা থানা ঘেরাও এবং বিক্ষোভ করেছে।
এ সময় তারা দোষী ব্যক্তির ফাঁসির দাবি জানান।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থানার সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।
পরে থানার সেকেন্ড অফিসার হানিফ সরকার আশ্বাস দিলে স্বজনরা শান্ত হয়।
বেলা ১২টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত আসলাম শেখ উপজেলার রসুনিয়া গ্রামের মৃত হজরত আলী শেখের ছেলে।
স্বজনরা আরো জানান, গত ১লা বৈশাখ সকালে জমিসংক্রান্ত ঘটনায় আসলাম শেখের পরিবারের ওপর হামলা চালায় একই গ্রামের মৃত খলিল বেপারির ছেলে সোহেল রানা। সে সময় আসলাম শেখসহ পরিবারের ৬-৭ জন আহত হয়। আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর সোহেল রানার এক মামলায় আটক হয় আসলাম শেখ। পরে অসুস্থ অবস্থায় জামিন পেয়ে আসলাম শেখকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৪টায় সে মারা যায়। লাশ নিয়ে স্বজনরা সিরাজদিখান থানায় এসে বিক্ষোভ করে।
নিহত আসলাম শেখের ছোট বোন চায়না আক্তার ও শামীমা আক্তার জানান, সোহেল রানা জেল খানায় পুলিশকে টাকা দিয়ে আমার ভাইকে মারধর করায় আরো অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করার পর আজ সকালে মারা যায়। আমরা সোহেল রানার ফাঁসি চাই।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের দুপক্ষের সংঘর্ষে আসলাম শেখ গুরুতর আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ আসলাম মারা যায়। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।