মুন্সিগঞ্জ, ৫ মার্চ, ২০২০, জাফর মিয়া (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডর বিক্রির ব্যবসা।
রড, সিমেন্ট, কোকারিজ, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে প্রকাশ্যে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে সাজিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
কেউ কেউ বিপুল পরিমান মজুদও করে রেখেছে গ্যাস সিলিন্ডার নামক বোমা। এদের গ্যাস বিক্রির লাইসেন্স তো দূরের কথা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পর্যন্ত নেই। তার পরেও থেমে নেই ঝকিপূর্ণ এই সিলিন্ডার ব্যবসা। জেলার ৬টি উপজেলার সবগুলো হাট বাজারের বিভিন্ন দোকানে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ব্যবসা ।
জানা গেছে, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৮টিরও কম গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে লাইসেন্স প্রয়োজন নেই। এমন আইনের সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ৮ টি সিলিন্ডার মজুদ রাখতে হলেও অধিকতর নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আইনের ছিটেফোটাও মানছেনা ব্যবসায়ীরা। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করার কারনে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা নেপথ্যে থেকে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে এই খুচরা বিক্রেতাদের। তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ট্রাক, নসিমনে করে গ্যাস সিলিন্ডার সর্বরাহ করেছে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে।
সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবে এ ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ন যেনেও নির্দিধায় এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা অনেকে দোকানের সামনে ৮ টি সিলিন্ডার দোকানে সামনে রেখে বাকীগুলো দোকানের ভিতরে কিংবা অন্যখানে মজুদ করে রাখছে । ফলে এসব দাহ্য পদার্থ যেকোন সময় বড় ধরনের বিস্ফোরন ঘটাতে পারে ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো: আবু বকর জামান জানান, একটি গ্যাস সিলিন্ডারকে একটি বোমা মনে করতে হবে । তিনি আরো বলেন, অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন ২০০৩ এর ৪ ধারা মোতাবেক সরকার ঘোষিত ফায়ার সার্ভিসের কোন জ্বালানি নিয়ে কেউ ব্যবসা করলে তাকে মজুদ প্রক্রিয়াকরন অ্যাক্ট অনুয়ায়ী লাইসেন্স নিতে হবে। আমরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করেছি। নিয়মিত অভিযান চলমান আছে ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সামিউল মাসুদ বলেন, যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। এ বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।