মুন্সিগঞ্জ, ২ নভেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শান্ত আহমেদের (৩৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
শুক্রবার রাত ১১ দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় শান্ত আহমেদকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে কয়েকজন। এসময় আহত আরও ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তারা হলেন- শামিম (৩৫), শাহাদাত (৩৮), আশেক আলী (৫৫) ও মিন্টু (৪৫)।
হাসপাতালে আনার পর শান্তর মাথায় গুরুতর জখম পাওয়া যায় বলে জানান জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত স্টাফরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যু হয় ওই যুবদল নেতার।
নিহত শান্ত আহমেদ চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা এলাকার বোরহান সরকারের পুত্র।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার শনিবার সকালে গণমাধ্যমের কাছে জানান, শুক্রবার রাত দশটার দিকে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় মেঘনা নদীতে স্পিডবোটের সাথে ওই এলাকায় অবস্থান করা মাছ ধরা ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে ওই যুবদল নেতার প্রাণ গেছে। তবে ঘটনাটি ঘতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে নিহতের ছোট ভাই মামুন সরকার বলেন, ‘আমার ভাই নদীতেই যায়নি। স্পিডবোটের সাথে ট্রলারের সংঘর্ষ হলে তার শরীর একটু হলেও ভেজা থাকতো। তাছাড়া তার বুকের পাজর ভেঙে গেছে, মাথায় ধারালো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন আছে। আবার তাকে নদীর পার থেকে সাদা হাইস গাড়িতে করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এই গাড়ি কার? এত দ্রুত কিভাবে ওখানে গাড়ি এলো?’
স্থানীয়রা জানান, গত ২২ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে নৌ ডাকাতির ঘটনায় আলোচিত নাম উজ্জল খালাসী ওরফে বাবলা নিহতের পর নদীতে বৈধ-অবৈধ বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলাকাটিতে প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠে আরেক বাহিনী প্রধান কিবরিয়া মিয়াজি। গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। ঘটেছে দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের ঘটনাও।
যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় কিবরিয়া মিয়াজির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা ঘতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।