১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৮:০২
মুন্সিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

শনিবার সকাল ৯টায় জেলার হরগঙ্গা কলেজ বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ও জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।

পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা প্রশাসন, জেলা বিএনপি, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা, মিরকাদিম পৌরসভা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কতৃক হত্যাকাণ্ডের স্বীকার বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির সূর্য সন্তানদের স্বরণ করে জেলাবাসী।

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিল এ দেশীয় দোসররা।

ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য; তখন রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের; এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়া।

দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকাণ্ড।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ৫৩তম বার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও বুদ্ধিভিত্তিক পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ভূমিকা স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেন, ‘বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে।’