মুন্সিগঞ্জ, ৯ মে ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসাবে সরকারি অনুদান প্রাপ্তির বিষয়ে নিয়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমালোচনার প্রেক্ষিতে আনিত অভিযোগগুলো তদন্ত করতে কমিটি করছে জেলা প্রশাসন।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত আমার বিক্রমপুরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু অনুদানগুলো সরকার দিচ্ছে, আমরা শুধু মাধ্যম। কিন্তু তারপরও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে দেখভালের। কেউ কেউ এই সুযোগটা নিতে পারে। আন্দোলনে না থেকে, আহত না হয়ে, অথবা যে কোন অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে উঠলে আমরা সেগুলো গুরুত্বের সাথে তদন্ত করবো। এ বিষয়ে আমরা কমিটি করে দিবো। সেখানে অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে।’
প্রসঙ্গত: বুধবার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ১০৫ জন ও বৃহস্পতিবার গজারিয়া উপজেলার ৭ জন ‘সি’ ক্যাটেগরির আহতদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। পরে বিতরণের সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে গজারিয়া উপজেলার বাদল বেপারী ও শাওন বেপারিকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। সম্পর্কে তারা পিতা-পুত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরে আন্দোলনে নিহত ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা রয়েছে। এছাড়া তৎকালীন মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য (বিলুপ্ত) ফয়সাল বিপ্লবের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।