১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ১১:৫৫
মুন্সিগঞ্জে প্রকাশ্যে গু.লি করে ইউপি চেয়ারম্যান হ.ত্যা, দশজনকে আসামি করে মা.মলা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ জুলাই ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে প্রকাশ্য দিবালোকে পাচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

আজ সোমবার রাতে টংগিবাড়ী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই পুলিশ সদস্য এইচ এম ইমন হাওলাদার।

এ ঘটনায় আটক ৩ জনসহ প্রধান অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ হাওলাদার ও ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলেনকে আসামি করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, পাঁচগাও এলাকার কাওসার হাওলাদার (৪৭), শেখ নুর হাওলাদার (৫৫) ও নুর হোসেন (৫০)। মূল অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ হাওলাদার পলাতক রয়েছেন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচগাও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। দুপুর ২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যান। পরে তার মরদেহ টংগিবাড়ী থানায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা পর বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মরদেহে হৃদস্পন্দনের অস্তিত্ব রয়েছে এমনটা দাবি উঠলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ মরদেহটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিহত সুমন পাঁচগাও গ্রামের পিয়ার হোসেন হাওলাদারের পুত্র। ২০২৩ সালের মার্চে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সুমন ৩ বছর বয়সী এক ছেলে ও ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানের জনক।

সোমবার বাদ যোহর পাঁচগাও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ইউএনও, ওসি, চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী সমর্থক এবং স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে জানাজা শেষে সুমন হাওলাদারের মরদেহ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মামলার তথ্য নিশ্চিত করে টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করছে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশা করছি দ্রুত তিনি গ্রেপ্তার হবেন। এছাড়া সে যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।’

error: দুঃখিত!