মুন্সিগঞ্জে একাধিক মাদক মামলার অাসামী যুবদল নেতা অারিফ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন দাবি করেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার চর হায়দ্রাবাদ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফুল ইসলাম আরিফ (৩৭) সদর উপজেলার নয়াগাও এলাকার বাসিন্দা। তিনি ‘বাবা আরিফ’ নামেও পরিচিত ছিলেন। মাস ছয়েক আগে তাঁর আপন ভায়রা ভাই শাহজালালও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
অারিফের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী, ছিনতাই, পুলিশের উপর হামলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহজালালের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পরে অারিফই ছিলো মুন্সিগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়।
একরোখা ও বেপরোয়া অারিফের সাথে শাহজালালের পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপারের এই মেয়াদকালে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ভূমিকা নেওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত তিনি।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
‘গতকাল রাতে আরিফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁকে নিয়ে গজারিয়াকান্দি এলাকা থেকে চর হায়দ্রাবাদ যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে ওত পেতে থাকা আরিফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।’
ওসির আরো দাবি, এ সময় আরিফ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর শরীরে গুলি লাগে। পরে আরিফকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, আটটি গুলি, একটি গুলির খোসা ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য আরিফের লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।