মুন্সিগঞ্জ, ২১ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সিগঞ্জে নিহত ৩ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে বিএনপি। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অপকর্ম করলে মামলার হুশিয়ারি দিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
এছাড়া নিহতদের শহীদ হিসেবে মর্যাদা দিতে রাষ্ট্রের কাছে দাবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির আয়োজনে স্বৈরাচার পতনোত্তর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনামূলক আলোচনা ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় আন্দোলনে নিহত ৩ ব্যক্তির পরিবারকে আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপি নেতারা।
আলোচনা ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনা সরকারের বিচারের দাবি তোলা হবে। একইসাথে রাষ্ট্র কর্তৃক নিহতদের শহীদী মর্যাদার জন্য বিএনপি কাজ করবে।’
নিহতের পরিবারের কর্মসংস্থানসহ যেকোন প্রয়োজনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘বিএনপি অপরাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। দলের নাম ব্যবহার করে কোন সুযোগসন্ধানি দখল-চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাবুল, বেনজির আহম্মেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আজগর রিপন মল্লিক, এ কে এম এরাদত মানু, মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত; গেল ৪ আগস্ট জেলার সুপারমার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মো. সজল মোল্লা (৩০) ও নুর মোহাম্মদ সরদার ওরফে ডিপজল (১৭)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।