মুন্সিগঞ্জ, ২১ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা এবং গোমতী নদীতে চলাচলকারী নৌযানে চাঁদাবাজির সময় ৬ চাঁদাবাজকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় সরকার অনুমোদিত বালু মহালের সীমানার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ৩টি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
চাঁদাবাজির ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- আপন (৩৮), নেয়ামত উল্লাহ (৩৩), ইউসুফ (৫৪), মোতালেব (২৬), রিপন (২৯) ও আনোয়ার হোসেন (৪০)।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নৌযান থেকে চাঁদা তোলার সময় ৬ নৌ চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অন্যদিকে নদীর বাহার কালীপুরা এলাকায় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বালু মহলের সীমানার বাহিরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় তিনটি ড্রেজার জব্দ করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, সরকার অনুমোদিত কোন বালু মহাল না থাকলেও গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সীমানা ঘেঁষে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতো প্রভাবশালী একটি চক্র। নৌ ডাকাত নয়ন বাহিনীর লোকজন দিনে-রাতে অনবরত মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করলেও একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এদিকে নদীর কালীপুরা এলাকায় একটি বৈধ বালু মহাল থাকলেও রাতের আঁধারে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে বাহার কালীপুরা গ্রাম। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। সম্প্রতি তারা সেনা ক্যাম্পে বিষয়টি জানালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় আজ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। দেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় যা যা প্রয়োজন সেনাবাহিনী তাই করবে। আটকৃতদের গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। জব্দকৃত ড্রেজার আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’