১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | রাত ১০:০৫
মুন্সিগঞ্জে তৈরি মাছ ধরার চাঁই যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৩ আগস্ট, ২০২০, শেখ মোহাম্মদ রতন (আমার বিক্রমপুর)

এরই মধ্যে মাছ শিকারে মুন্সিগঞ্জের তৈরি চাঁই দেশজুড়ে জেলেদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে নদী-নালা ও খাল-বিলে মাছ শিকারের জন্য মুন্সিগঞ্জে এখন চাঁই তৈরির ধুম পড়েছে।

দিনরাত পৌরসভার রমজানবেগ এলাকায় মাছ শিকারের এই চাঁই তৈরি চলছে। ওই এলাকার প্রায় ৬০টি পরিবার চাঁই তৈরির পেশায় জড়িত। তাদের তৈরি এই চাঁই বিক্রি হচ্ছে মুন্সিগঞ্জে জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।

এ ছাড়া চাঁই বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভোলা, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে।

জানা গেছে, চাঁই তৈরি করে রমজানবেগ এলাকার প্রায় ৬০টি পরিবারের সংসার চলে। সারা বছর চাঁই তৈরি করে থাকলেও বর্ষা মৌসুমে ব্যস্ততায় সময় কাটে তাদের। মূলত বর্ষা মৌসুমকে ঘিরেই চাঁই তৈরি করেন তারা। আর এই মৌসুমেই সারা বছরের উপার্জন হয় তাদের।

মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে পরিচিত এই চাঁই জেলেদের কাছে মাছ শিকারের জন্য সহজলভ্য এক পদ্ধতি। তাই বর্ষায় নদী-নালা, খাল-বিল ও জমি-জমার আশপাশে জেলেরা মাছ শিকারে এই চাঁই দিয়ে ফাঁদ পেতে থাকেন।

মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার রমজানবেগ এলাকায়ই এখন কেবল চাঁই তৈরির চিত্র চোখে পড়বে। পুরুষের সঙ্গে সমানতালে চাঁই তৈরি করে চলেছেন এখানকার নারীরাও। চাঁই তৈরির উপকরণ বাঁশ ও মুলি ছেঁটে দেন পরিবারের প্রতিটি নারী। আবার চাঁই বুননেও তারা হাত মিলাচ্ছেন পুরুষের সঙ্গে। নারী ও পুরুষের মিলিত হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে একেকটি চাঁই।

চাঁই ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন দুই হাজারের মতো চাঁই তৈরি করে থাকে রমজানবেগ এলাকার প্রায় ৬০টি পরিবার। চাঁই তৈরির কাজে ব্যবহৃত বাঁশ ও মুলি সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ থেকে কিনে আনেন তারা। একেকটি বাঁশ ও মুলির দাম পড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এরপর তৈরি করা একেকটি চাঁই বাজারে বিক্রি করেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

রমজানবেগ এলাকায় চাঁই তৈরির ব্যস্ততার ফাঁকে কথা বললেন মো. মহসিন মিয়া।

তিনি জানান, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এ শিল্পকে এখনও বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুঁজির অভাবে অনেক সময় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বেকার থাকতে হয় চার থেকে পাঁচ মাস।

error: দুঃখিত!