জেলার সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত, অপহরণের চেষ্টা ও ভাইয়ের ওপর হামলার মামলায় ছাত্রলীগের দুই বখাটেকে পাঁচ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কিন্তু আসামিরা এলাকায় ঘুরে বেড়ানোয় ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন যাপন করছেন। এ অবস্থায় কলেজ ছাত্রীর লেখাপড়া এখন বন্ধের পথে।
এদিকে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কোনো চেষ্টা নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের শাহ পরাণ মোল্লার ছেলে শাহাবাজ মোল্লা আসিক(২৭), ইকবাল হোসেনের ছেলে ইকরাম হোসেন তুর্য্য (২৬) ও আকবর মোল্লার ছেলে জনি মোল্লা (২৫)। এদের মধ্যে শাহাবাজ মোল্লা আসিক মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইকরাম হোসেন তুর্য্য সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছিলো।
১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা আহম্মদ আলী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কলেজে আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে আসিক উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এতে কলেজ ছাত্রী রাজি না হওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে নয়টার দিকে আসিকের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয় বখাটে তাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় মেয়েটির ভাই তাকে উদ্ধার করতে এলে বখাটেরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। ভাই-বোনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
এরপর একইদিন দিনগত রাত দুইটার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর জবানবন্দি নেন ম্যাজিস্ট্রেট শাহেন আরা বেগম।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক(এসআই) মো. মোমেন ভূঁইয়া জানান, আসামিদের বাড়িতে ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা জানান, তূর্য ও অাসিক এর বিরুদ্ধে ঘটনার অভিযোগের বিষয়ে খোজ-খবর নেয়া হচ্ছে। ঘটনা প্রমানিত হলে ওদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হবে।