১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৬:০৩
মুন্সিগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী আটক, লাশ নিয়ে স্বজনদের বিক্ষোভ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২ জানুয়ারি, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে শ্বাসরোধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে স্বজনরা। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ফেরদৌস হাসান সোহান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে আজ সোমবার বেলা ৩টা’র দিকে নিহত গৃহবধূর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে লাশ নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ করে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা।

এসময় তারা গৃহবধূ তানহা আক্তারকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে অভিযুক্ত স্বামী ফেরদৌস হাসান সোহানের বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন।

নিহত গৃহবধূ তানহা মাহমুদা (২১) মিরকাদিমের উত্তর কাগজীপাড়া এলাকার মো. মহিউদ্দিনের মেয়ে। তিনি পঞ্চসারের মালিরপাথর এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে স্বামী ফেরদৌস হাসান সোহান (৩০) কে নিয়ে মিরকাদিমের এনায়েতনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

২ বছর আগে প্রেম করে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। তাদের ১২ মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা’র দিকে তানহা নামের ওই গৃহবধূকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বামী সোহান। এসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করলে সোহান তানহার পরিবারকে ফোন দিয়ে মৃত্যুর খবর জানান। পরে স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে সোহানকে আটক করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূর শরীরের গাল, গলা, ডান চোখের উপরে, হাতের বাহুর নিচে, পেছনে কোমড়ের উপরিভাগ থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত ও থুতনির নিচে কবজি পর্যন্ত একাধিক মারধরের চিন্থ রয়েছে।

নিহতের বাবা মো. মহিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে জামাই জুয়ায় আসক্ত ছিলো। সে আমার মেয়েকে টাকার জন্য নিয়মিত মারধর করতো। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বিচার-সালিশও হয়েছে। গতকাল শ্বাসরোধ করে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে পাষন্ড সোহান।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান জানান, গৃহবধূ হত্যাকান্ডের ঘটনায় হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সোহানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

error: দুঃখিত!