২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১১:৩৮
মুন্সিগঞ্জে ‘কিশোর গ্যাং’ লিডারের হাতে কিশোর খুন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৬ আগষ্ট, ২০২০, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হানিফ তালুকদার (১৫) নামে এক কিশোর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় হানিফ।

সে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের আরমহল গ্রামের হযরত আলী তালুকদারের ছেলে।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের আজাহার মীরের ছেলে অনিককে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রধান আসামী শামিম ওরফে সিমান্ত পলাতক রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৪ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় শিয়ালদী মৃধাবাড়ি ব্রীজের পূর্ব দিকে আরমহল পাকা রাস্তায় হানিফকে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তার বাবা ও বড় ভাইয়ের সামনেই পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের ভুলু খা’র ছেলে শামিম ওরফে সিমান্ত (১৮) ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার বাবা ও বড় ভাই মিজান তালুকদার (২২) আহত হয়। গুরুতর আহত হানিফকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সিমান্ত এ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার, মাদকের নেশাসহ নানা অপকর্মে জড়িত।

এলাকাবাসী আরো জানায়, ঈদের আগের দিন সিমান্ত ম্যাচ (দিয়াশলাই) চায় মিজানের কাছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে হানিফ বিষয়টি নিয়ে সিমান্তকে জিজ্ঞাসা করলে হাতাহাতি হয়। এ সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মারামারির ঘটনা ঘটে।

মৃত হানিফের বড় ভাই মিজান জানায়, পূর্ব শিয়ালদি গ্রামের ভুলু খার ছেলে শামিম (সিমান্ত), তাজুলের ছেলে সাজ্জাদ, আজাহারের ছেলে অনিক ও তার বড় ভাই নাম জানা নাই, তারা ১০-১২ জন আমাদের মারধর করে। অন্য এলাকার আরো অনেক ছেলে ছিল, অনেককে চিনি তাদের নাম জানিনা। আমার ভাই হানিফকে, সিমান্ত আর সাজ্জাত বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে দেয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে ২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনের নামে মামলা করি। ঘটনার সময় আমাদের কাছ থেকে ২ টা মোবাইল ও বাড়ির জন্য রড-সিমেন্ট কেনার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে আরমহল গ্রামে একটা সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত হানিফ তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। আজকে সকালে খবর পাই ভোর রাতে সে মারা গেছে। এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেলে সুরত হাল ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করবে শাহবাগ থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাদী পক্ষের অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!