মুন্সিগঞ্জ, ৯ অক্টোবর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে কারেন্ট জালের অভিযান নিয়ে পক্ষপাতিত্ব ও বিভিন্ন লুকোচুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পঞ্চসার ইউনিয়নের ভুক্তভোগী সুতা ব্যবসায়ীরা এসব অভিযোগ করেছেন।
তাদের দাবি, গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পঞ্চসার ইউনিয়নের দূর্গাবাড়ী ও রামেরগাও এলাকায় কারেন্ট জাল বিরোধী অভিযান চালায় মুক্তারপুুর নৌ-পুলিশ।
অভিযোগকারীরা অভিযানের সময় কথিত সিন্ডিকেট এর চিন্হিত ফ্যাক্টরিগুলি বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের বাইরে যেসব ফ্যাক্টরিগুলো রয়েছে সেখানে অভিযান চালায়। অথচ সেখানে কারেন্ট জাল বানানো হয় না, বানানো হয় লায়লন সুতা। আবার ফ্যাক্টরিতে অভিযান হয়েছে কিন্তু মামলা থেকে নাম বাদ দেয়া হয়েছে, ফ্যাক্টরিতে কারেন্ট জালই পাওয়া যায়নি কিন্তু মামলায় দেখানো হয়েছে ৫ বস্তা কারেন্ট জাল পাওয়া গেছে এরকম নানা অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল রাত ৯ টা’র দিকে সরেজমিনে পঞ্চসার ইউনিয়নের দূর্গাবাড়ী ও রামেরগাও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বুধবার যেসব লায়লন সুতার ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়েছিলো সেগুলো বন্ধ থাকলেও পাশের যেসব ফ্যাক্টরিতে অজ্ঞাত কারনে অভিযান হয়নি সেই ফ্যাক্টরিগুলো সচল রয়েছে। সেখানে দেদারছে লায়লন সুতা উৎপাদন চলছে।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন খাঁন ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘অভিযানের সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, এ ধরনের ঘটনার প্রশ্নই আসে না। কোন যদি ভুল হয়ে থাকে সেটা সংশোধন করা হবে। তারা যেসকল অভিযোগ করেছে তা কারেন্ট জালের অভিযানের বিরুদ্ধে একটি গভীর চক্রান্ত।’
ভুক্তভোগী সুতা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের যদি লায়লন সুতা বানানো অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে যেসব ফ্যাক্টরিগুলোতে এখনো উৎপাদন চলছে সেগুলোতে অভিযান কেন হলো না? আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।