মুন্সিগঞ্জ, ২৩ আগস্ট, ২০২০, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমেছে, অন্যদিকে জনসাধারণের মাঝে আগের মত আতঙ্কও নেই। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
মুন্সিগঞ্জে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর আসে আরও ৪ মাস আগে। আর গতকাল জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে পাওয়া খবরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৬০ জন। যার মধ্যে ২৬০৭ জনই সুস্থ হয়ে গেছেন। আর এর মধ্যে মারা গেছেন ৬৩ জন। মৃতদের মধ্যে বয়স্ক লোকজনই বেশি।
আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মারা যাওয়ার পর করোনা টেষ্ট পজেটিভ হয়েছেন। অর্থাৎ করোনার চিকিৎসা বেশিরভাগ রোগীই গ্রহণ করেননি।
জানা যায়, মুন্সিগঞ্জে সর্বোচ্চ রোগী আক্রান্ত হয় জুন মাসে। সে মাসে মৃতের সংখ্যাও বেশি ছিলো। চলতি মাসে আজ (রোববার) পর্যন্ত ৩০০ অধিক করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছেন যার মধ্যে মৃত রোগীর সংখ্যা মাত্র ৫ জন। গত মাসে (জুলাই) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৬১ জন যার মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন।
অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জে করোনা টেষ্ট করার প্রবণতা একেবারেই কমে গেছে। প্রথমদিকে যেখানে দিনে ৫০/৬০-১০০/১৫০ নমুনা সংগ্রহ করা হতো সেখানে গতকাল দেখা গেছে জেলা থেকে মাত্র ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার উপসর্গ পাল্টানোয় অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার নিজে নিজে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তারা করোনাকে সাধারণ জ্বর-ঠান্ডা মনে করছেন। তাই করোনা টেষ্ট এর প্রতি মানুষের আগ্রহও কমেছে।
পরিস্থিতি এমন- অনেকে নিজের অজান্তে আক্রান্ত হয়ে আবার অজান্তেই সুস্থ হয়ে গেছেন।
মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ‘মুন্সিগঞ্জে রোগী আক্রান্তের সংখ্য কমছে আবার বাড়ছে। আক্রান্ত বাড়লে টেষ্টের পরিমাণ বাড়ে। আবার মৃত্যুও বাড়ে।’
তিনি মনে করেন, মুন্সিগঞ্জ থেকে করোনা চলে গেছে এরকমটা বলার এখনো সুযোগ তৈরি হয়নি।