মুন্সিগঞ্জ, ১০ জুলাই ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পাঁচগাও ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। মুন্সিগঞ্জ আমলী আদালত ৪ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান এ আদেশ দেন।
আজ বুধবার সকালে আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে শুনানি শেষে আসামিদের দুই দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গিবাড়ী থানার উপপরিদর্শক আল-মামুন রিমান্ড শুনানিতে অংশগ্রহন শেষে রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন, কাওসার হাওলাদার ওরফে সিটি কাওসার (৪৫), শেকেনুর হালদার (৪৮) ও নুর হোসেন (৪০)।
নিহত চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদার পাঁচগাও ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের প্রয়াত পিয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের মার্চে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন সুমন।
গত রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে সভাপতি পদে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা দেওয়ান মনিরুজ্জামান নামে স্থানীয় একজন ব্যক্তি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিলেনুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদার। আর মিলেনুরের সমর্থক ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, নূর আহমেদ, নুর হোসেন নামে তিন ভাই এবং কাওসার হাওলাদার, শেকেনুর হাওলাদাররা।
সে নির্বাচনে মনিরুজ্জামান ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এতে ক্ষিপ্ত হন পরাজিত প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদারকে নূর মোহাম্মদ প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় কাওসার, শেকেনুর, ও নুর হোসেনকে আটক করে পুৃলিশ। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা সুমনকে উদ্ধার করে টংগিবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায় সে।
হত্যার ঘটনার পরের দিন নিহত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইমন হালদার বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করে টংগিবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টংগিবাড়ী থানার উপপরিদর্শক আল মামুন বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ৭ দিন করে পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
তিন বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদসহ অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।’