মুন্সিগঞ্জ, ৩ মার্চ, ২০২০, জাফর মিয়া (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বর্ষারচর ব্রিজের নিচে কালিদাস নদীতে দীর্ঘ ৪ মাস ধরে চলতে থাকা অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
এসময় অবৈধ ড্রেজিং এর দায়ে একলাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জানা গেছে,কালীদাস নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং চালিয়ে আসছিলো বাবুল মেম্বার নামের এক প্রভাবশালী বালু দস্যু। সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বর্ষার চর গ্রাম সংলগ্ন কালিদাস নদীতে পার্শবর্তী আধারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বারের অবৈধ ড্রেজিং কারনে হুমকির মুখে পড়ে বিজ্র ও ফসলি জমি ।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত চলছে এই ড্রেজিং। অবৈধ ভাবে কেটে নিচ্ছে মাটি এতে ব্রিজসহ আশপাশের ধানী জমিগুলা পড়েছে হুমকির মুখে। বাবুল মেম্বার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
তারা আরও জানায়, বাবুল মেম্বার থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে এই মাটি কাঠছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই বলে থানা থেকে অনুমতি এনে মাটি কাটা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী ধানের জমিগুলো ভেংগে যাচ্ছে এই ড্রেজিং করার কারনে। তাৎক্ষনিক ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কেটে পড়েন।
পরে তার মুঠোফোনে কথা হলে বালুদস্যু বাবুল মেম্বার বলেন, থানা থেকে অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছি, আপনারা কারা যে আপনাদের অনুমতি দেখাতে হবে। আপনারা সাংবাদিক হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের গ্রামে কেন আসছেন। আমি নদীতে ড্রেজিং করি আপনারা পারলে আমার কিছু করেন।
বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আহাম্মেদকে জানানো হলে তিনি সরকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মেজবাহ উল সাবেরিনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনা পেয়ে মঙ্গলাবার বিকালে কালিদাস নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ড্রেজারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে অবৈধ ড্রেজারটি আগুনে পুঁড়িয়ে নষ্ট করে দেয়া হয় এবং অবৈধ ড্রেজিং এর দায়ে বাবুল মেম্বারকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহাম্মেদ বলেন, নদী খাল দখল, ভরাট এবং অবৈধভাবে ড্রেজিং এর সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। নদী এবং খাল রক্ষার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।