মুন্সিগঞ্জ, ১৩ জুন, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে মানিকের নেতৃত্বে এক নারী কাউন্সিলরকে স্বপরিবারে লাঞ্চিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোববার (১৩ জুন) বেলা ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মিরকাদিম পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর হাসিনা পারভীন।
গত ৭ই জুন রাতে মিরকাদিম এলাকায় এক বিচার সালিশে বাক-বিতন্ডার পর বাড়ি ফেরার পথে তাকে স্বপরিবারে লাঞ্চিত করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে অভিযোগটি মিথ্যা ও প্রতিপক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র পুত্র মানিক।
সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা পারভীন জানান, গত সোমবার (৭ জুন) রাতে মিরকাদিম এলাকায় স্থানীয় সুমন হাজীর বাড়িতে ছেলে-মেয়ে সংক্রান্ত একটি বিচার সালিসে যাই আমি। বিচারের মধ্যে ন্যায্য কথা বলে বাড়ি ফিরে আসতে নেই। এসময় বিচারের একপক্ষের মেয়ের ভাই রন্টি ও পৌর মেয়রের ছেলে মানিক আমাকে কিল,ঘুসি, লাথি দিয়ে বোরকা টেনে ছিড়ে ফেলে। আমার ছেলে রাজু, বদরুদ্দোজা ও স্বামী কালু মিয়া আমাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি মারধর করে করতে থাকে।
মারধরে মেয়রের ছেলে মানিকের সাথে আরো অংশ নেয় লিমল (২৬), মাইনউদ্দিন (৩৬), নিবির (২৩), রিংকু, সহ মেয়রের আরেক ছেলে পাপ্পু। আমি বাঁচার জন্য চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন আমি ও আমার পরিবারকে উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, আজ ন্যায্য কথা বলায় নির্যাতনের শিকার হতে হলো। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা বিচারের আশ্বাস দেওয়া আমি বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম। তবে কেউ আমাকে সাহায্য করে নাই। আমি রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করে মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে মানিক বলেন, সেদিন বিচারে হাসিনা পারভীনের ছেলে রাজু মদ্যপ ছিলো। তারা এসে পঞ্চায়তের উপর উল্টোপাল্টা কথা বলছিলো। আমার ভাই পাপ্পু সেখানে ছিলো না। পঞ্চায়েতের সাথে তাদের গোলমালের খবর শুনে আমি সেখানে যাই। এসময় রাজু মাতাল অবস্থায় আমাকে চিনতে না পেরে গায়ে হাত তোলে, ভিডিও আছে আমার কাছে। উপস্থিত লোকজন তাকে সরিয়ে নেয়। তার বড় ভাই আমার কাছে এবিষয়ে মাফ ও চেয়েছে। এখন তারা আমার বাবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমাদের হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।