১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৮:১২
মন্দিরে চুরি: পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি মন্দির থেকে তালা ভেঙ্গে কয়েকটি মূর্তি ও মূল্যবান সামগ্রী চুরির ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবার।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ২০০ বছরের পুরোনো কামিনী পাল বাড়ির রাধা-শ্যাম জিউর ঠাকুর মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায় মন্দিরের দুটি দরজায় দুটি তালা ভেঙ্গে উলট-পালট সব সরঞ্জাম। ভেতরের দেবতার ঘরটি খালি। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর পাল জানান, গতকাল রাত ১০দিকে মামলা এজাহার লিখে থানায় জমা দেই। তবে ওসি সাহেব প্রথমে মামলা নিতে চায়নি। তিনি বলেছেন জানাজানি হলে যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা গাঢাকা দিবে। এসপি (পুলিশ সুপার) নির্দেশে পরে মামলা নিয়েছে। আমাদের ৩০টি হিন্দু পরিবার রয়েছে এই গ্রামে। সবাই আতংকে রয়েছে। হঠাৎ করে চুরি কেন? মন্দিরের সম্পত্তি দখলের জন্য হয়ত চুরির মত ঘটনা ঘটিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাদের পূর্ব পুরুষ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এটি একটি সাধারণ চুরি নয়। এটি আমাদের হিন্দু ধর্মের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক হামলা।

মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামলা তো হবেই। ওসি মামলা নিবে না কেন? মন্দির কমিটির মামলা না নিলে প্রয়োজনে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে। আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। আর চুরির ঘটনাকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলেছি।

উল্লেখ্য, কাঠের আলমারিটি ভেঙ্গে মূল্যবান সব সামগ্রী নিয়ে গেছে। আমরা এসে বুঝতে পারি এখানে চুরি হয়েছে। ২০০ বছরের পুরোনো একটি চিত্রপট, অষ্টধাতুর গড়া রাধা-কৃষ্ণ বিগ্রহ মূর্তি, ৮ কেজি ওজনের একটি গোপাল মূর্তি ও তার গলায় ১০ ভরি ওজনের রুপা, দেড় মণ ওজনের তামা-কাসাসহ মন্দিরের ভেতরের সকল সামগ্রী চুরি হয়। এমনকি মন্দিরের ঘণ্টাটিও বাদ দেয়নি।