মুন্সিগঞ্জ, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাবেক সহকর্মী, কখনো সাংবাদিক আবার কখনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে অভিনব উপায়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করতেন মুন্সিগঞ্জের শাহ কামাল খান।
গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ডিএমপির ডেমরা থানা পুলিশের হাতে।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
কামাল খান ওরফে শাহ কামাল খান (৪৬) মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ডাব প্রতীক নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মুসা কালিমুল্লাহ ট্রাফিক ডেমরা জোনে কর্মরত। তিনি গত (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডেমরা থানার রাণীমহল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় প্রতারক কামাল টিআই মুসাকে ফোন করে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইজিপি কমপ্লেইন সেল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। টিআই মুসা বিষয়টি নিয়ে তার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন এই ব্যক্তি আরও অনেক পুলিশ সদস্যদের কাছেও একই পরিচয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছেন।
পরবর্তীতে গতকাল (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় প্রতারক কামালকে কৌশলে ডেমরা থানার মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় নিয়ে আসা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জি এম মুসা কালিমুল্লাহ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত কামালের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
ডেমরা থানা সূত্রে আরও জানা যায়, কামাল একজন পেশাদার প্রতারক। সে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।