বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে মাদারীপুর জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে পরীর নির্দেশে এক কিশোরকে কনে সাজিয়ে আরেক কিশোরের সাথে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।
এ গ্রামেরই ১২/১৩ বছর বয়সী কিশোর জুয়েলকে কনে সাজিয়ে তার সাথে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে তার চেয়ে একটু বেশি বয়সী কিশোর নাজমুলের।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এলাকার নারী পুরুষ অনেকেই।
কনে সাজানো কিশোরের মা বলছেন তার ছেলে পরীর কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে গায়ে হলুদ, ভূরিভোঁজ সহ নানা আয়োজন হলেও কোন কাবিন বা বিয়ের অন্য কোন আনুষ্ঠানিকতা হয়নি বলে জানান তারা।
যদিও বিয়ের একটি ভিডিও ফেসবুক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক সাগর হোসেন তামিম বলেন, “মাদারীপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০/৭৫ কিলোমিটার দুরের প্রত্যন্ত গ্রাম আউলিয়াপুর। কোন কাজী এসে বিয়ে না পড়ালেও মঙ্গলবার দিনে আর সব আয়োজনই ছিল ওই অনুষ্ঠানে”।
বিয়ের আয়োজন থেকেই সেটি ভিডিও করে পরে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ঘটনাটি গণমাধ্যমের নজর কাড়ে। ভিডিওডিতে বেশ কিছু নারীর অংশগ্রহণ ও শিশুদের উল্লাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
তবে সাজানো কনে জুয়েলের মা বলেন, তারা শুধু তার ছেলের সাথে থাকা পরীর নির্দেশ মেনে এ আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমার ছেলেরে মাইরা ফেলবে বলছে, তাই শুধু সাজানো হয়েছিলো ওভাবে পুতুলের মতো”।
জুয়েলের মামা মোবারক হোসেন বলেন, “তার ভাগ্নের সাথে অনেকদিন থেকেই পরীরা অবস্থান করছিলো। সবশেষে পরীরা বিয়ের আয়োজনের হুমকি দিলে উদ্বিগ্ন হয়েই তারা ওই আয়োজন করেন”।
স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর কয়েকজন জানিয়েছেন দুর্গম এলাকা ওই আউলিয়াপুরে শিক্ষার ছোঁয়া নেই বললেই চলে। যে কারণে জীন বা পরি বিষয়ক নানা ধরনের ঘটনা এসব এলাকায় মাঝে মধ্যেই শোনা যায়।
তবে স্থানীয় পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দু কিশোরের মধ্যে বিয়ের আয়োজন সম্পর্কে তেমন কিছু জানাতে পারেনি।