মুন্সিগঞ্জ, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
বসানো হয়ে গেছে পদ্মা সেতুর সবকয়টি স্প্যান। স্প্যান বসাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো ভাসমান ক্রেণ তিয়াইন-ইয়ো’র।
৪১ তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর পুরো ৬.১৫কিলোমিটার অংশ।
আর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর পর পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ শেষ হয় সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত ভাসমান ক্রেণ তিয়াইন-ইয়ো’র।
যে ক্রেনটি দিয়ে গত ৩ বছরে নির্ধারিত পিয়ারে একের পর এক স্প্যান বসিয়ে স্বপ্নের সেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে, কাজ শেষ হওয়ায় সেটির এবার বিদায়ের পালা।
রোববার সকালে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভাসমান ক্রেনটি।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ক্রেনটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে সকালে মাওয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে সেটি হংকং হয়ে জন্মভূমি চীনে পাড়ি জমাবে।
সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া থেকে চট্রগ্রাম পর্যন্ত যাত্রা নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে বড় মাদার ব্যাসেলে সেটি হংকং এর উদ্দেশ্যে রওনা হবে। যেতে সময় লাগবে এক মাসের বেশি।
প্রসঙ্গত, চীনে তৈরি ৩হাজার ৬শ টন ধারণ ক্ষমতার বিশেষ ধরণের এই ভাসমান ক্রেণটির দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে আনা হয়। সে বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান থেকে চলতি বছরের গত ১০ডিসেম্বর সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ করে ক্রেণটি। এটি ব্যবহারে প্রতি মাসে খরচ পরেছে ৩০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ পদ্মা সেতু প্রকল্পে থাকা অবস্থায় গত ৪৫ মাসে খরচ পরছে সাড়ে ১৩কোটি টাকা।