মঈনউদ্দিন সুমনঃ পদ্মা নদীতে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। এক কথায়- শেখ হাসিনার একক অবদান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। ৩১ হাজার কোটি টাকায় নিজস্ব ফান্ডিংয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুর নামকরণে জনমত ও সংসদ সদস্যদের প্রস্তাবিত মতের প্রতিফলন ঘটাতে চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে বহু চিঠিপত্র এসেছে, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মন্ত্রণালয়ে লিখেছে। সবার অভিমত শেখ হাসিনার নামে পদ্মা সেতুর নামকরণ করা হোক। সে জন্য আমরা- মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি… আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগও এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে সামারি পাঠিয়েছে। এবং আমরা অভিন্ন মত পোষণ করি।’
‘জনমতের চাপ আমরা প্রতিনিয়তই অনুভব করছি। কাজেই এই সেতুর যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার্স… আমাদের যে সুবৃহৎ সেতু, ডাবল ডেকার সেতু, এই সেতুর নামকরণ আমরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি- শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৫৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ১৩ অক্টোবর প্রকল্পের ৬০ ভাগ কাজের শুভ উদ্বোধন হবে।’
মন্ত্রী পরে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় সেতুর সার্বিক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর নামকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, পদ্মা নদীর নামে সেতুর নাম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সৎ সাহস দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা। দেশের জনগণের মতামত নিয়েই নামকরণ হচ্ছে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু। এছাড়াও সেতুর নামকরণের বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে বহু চিঠিপত্রসহ সুধীজনের অভিমত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ হোক এই সেতুর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি বিদেশি সাহায্য ছাড়াই সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন, এখন আর বাংলাদেশ পরনির্ভরশীল নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, প্রকল্পের প্রকৗশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের, শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, সেতু বিভাগের কর্মকর্তা, নির্মাণ কাজে সম্পৃক্ত সেনা কর্মকর্তাসহ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।