মুন্সিগঞ্জ, ১১ নভেম্বর, ২০২০, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার সালমা (ছদ্মনাম) অভাবের সংসারের দুঃখ খোচাতে ধার-দেনা করে ৯ মাস আগে জর্ডানে গিয়েছেন। সেখানে গিয়েও পরেছেন দুর্দশায়। তিনি বিদেশে যাওয়ার কিছুদিন পরেই বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে করোনা মহামারি।
৯ মাসে মাত্র একবার দেশে যোগাযোগ করেছেন। তখন ১০ হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন। এরপর তার কোন হদিস নেই।
সালমা’র ৩ মেয়ে। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। থাকেন শশুড়বাড়িতে। অন্য দুই মেয়ে মেঘলা (১৬) ও মিম (১৪) বাড়িতেই থাকেন। তাদের বাবা কোন কাজ করেন না। তাদের কোন ভাইও নেই। করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা আরও প্রকট সমস্যা নিয়ে কোনমতে টিকে আছেন।
সালমার মত এমন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ৫০০ অভিবাসী পরিবারকে ত্রাণের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম- ওকাপ।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম- ওকাপ মুন্সিগঞ্জ ফিল্ড অফিসের মাঠ কর্মকর্তা ইউজিন ম্রং জানান, বর্তমানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। ত্রাণের জন্য আমরা ৪ ক্যাটেগরিতে লোক বাছাই করছি।
‘করোনার কারনে বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মী ও তার পরিবার, করোনার কারনে বিদেশে অবস্থানরত কর্মহীন অভিবাসী কর্মী’র পরিবার, করোনার কারনে শেষ মুহুর্তে বিদেশ না যেতে পেরে ক্ষতিগ্রস্থ অভিবাসী কর্মী বা তার পরিবার ও অধিক ক্ষতিগ্রস্থ বা ধার-দেনা গ্রস্থ অভিবাসী কর্মী বা তার পরিবার এরকম ৫০০ পরিবার এই ত্রান কার্যক্রমের আওতায় আসবেন। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে নগদ অর্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করা হবে। আগামী ৫-১০ দিনের মধ্যে তারা এই সহায়তা পাবেন।’