সানিয়াৎ আব্দুল্লাহঃ দেড় মাস ধরে গ্যাস কম আসছিল মুন্সিগঞ্জ জেলার সুখবাসপুর এলাকার মনিশা বেগমের বাড়িতে; সোমবার সকালে চুলা ধরাতে গিয়ে দেখেন, গ্যাস একেবারেই নেই।
“আগে কম গ্যাসে কোনো রকম রান্না করা গেলেও তাও বন্ধ হয়ে গেল, দুপুরে আমার বিক্রমপুর ডটকমকে বলেন মনিশা বেগম।”
গ্যাসে রান্না না হওয়ায় দুপুরে মাটির চুলায় রান্না করতে হয়েছে তাকে। এরপর বিকাল ৪টার দিকে আবার গ্যাস আসতে থাকে বলে জানান এই গৃহিনী, যদিও আগের মতোই চাপ কম।
সুখবাসপুর এলাকার আরও কয়েকজন বাসিন্দা বলেছেন, মাসখানেক ধরে গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাপ কম পাচ্ছেন তারা।
একই অভিজ্ঞতার কথা জানান মুন্সিগঞ্জ শহরের খালিষ্ট এলাকার ফেরদৌসী সুলতানাও।
তিনি আমার বিক্রমপুর ডটকমকে বলেন, “গত দুই মাস ধরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের সঙ্কট চলছে। এই সময়ের মধ্যে লাইনে যে গ্যাস আসে, তাতে রান্নাবান্না সম্ভব হয় না। খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।”
মুন্সিগঞ্জ শহরের লাড়ীপারা এলাকার জহানারা বেগম জানান, তারা গত দেড় মাস ধরে দিনে ২/৩ ঘণ্টার জন্য গ্যাস পেতেন। গত দুইদিন ধরে একদমই পাচ্ছেন না।
কাটাখালী এলাকার সাদিয়া জাহান ইমু বলেন, তারা এখন ইলেকট্রিক চুলায় রান্নাবান্না করছেন।
“ডিসেম্বর থেকে এলাকায় গ্যাস সঙ্কট। গত এক সপ্তাহ ধরে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস আসা বন্ধ।”
একই রকম সমস্যার চিত্র মুন্সিগঞ্জ শহরসহ সারা জেলায় দেখাগেছে।
এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা বলেছেন, বাড়িতে রান্না করতে না পেরে বাইরে থেকে খাবার কিনতে গিয়ে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আবার বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করতে গেলেও খরচ বাড়ছে।
গ্রাহকরা শত শত অভিযোগ করলেও ফলাফল কিছুই পাচ্ছেন না।
মুক্তারপুর এলাকায় অবস্থিত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ জানান,“গ্যাসের চাপ কম , তাই সরবরাহ কম হয়, তবে অচিরেই সমস্যা সমাধানের আশা পোষণ করেন তারা।
তবে কেউ কেউ সমস্যার জন্য শীতের এই সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়াকেও দায়ী করেছেন।