মুন্সিগঞ্জ, ২২ অক্টোবর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এ. আর ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভুল রক্ত পরীক্ষার অভিযোগ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তদন্ত কমিটি কতৃক প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে এ. আর ক্লিনিকের অনিয়ম নিয়ে আমার বিক্রমপুরে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানায় তারা। সেসময় প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি করে। এবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানালো, ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত একটি পত্র পাঠানো হয়েছে এ.আর ক্লিনিকে। স্বাস্থ্য সেবায় অবজ্ঞা, অনিয়ম ও প্রতারণার কারনে কেন এ. আর ক্লিনিকের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে না তার জবাব লিখিতভাবে জানাতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম।
সেখানে বলা হয়েছে- ‘শিক্ষার্থী মাশরাফি হাসান পিয়াল রক্ত পরীক্ষায় তাকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ায় এবং পরবর্তীত ভুল রিপোর্টের বিষয়টির ব্যাখ্যা দাবি করলে এ. আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার সাথে অশোভন আচরণ করলে তিনি ওই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে বিচার দাবি করেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পান এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।’
‘তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর রক্তের গ্রুপ “O” Positive (+ve). কিন্তু এ. আর ক্লিনিক অভিযোগকারীর রক্তের গ্রুপ “B” Positive (+ve) রিপোর্ট সরবরাহ করে। রক্তের গ্রুপের মত একটি Sensitive বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে এ. আর ক্লিনিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় অবজ্ঞা, অনিয়ম ও প্রতারণা করেছে। যা বিদ্যমান “দি মেডিকেল প্র্যাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরী অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর বিধি বিধান” নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
চিঠির উত্তরে যথাযথ জবাব না পেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পত্রে বলা হয়েছে।