মুন্সিগঞ্জ, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
‘মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে এলেই ড্রেজারগুলো উধাও হয়ে যায়। আবার ফিরে আসে। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন বলতে কিছু শব্দ আছে। প্রশাসনের কাজটা কী? ড্রেজার দিয়ে আড়িয়াল বিলে কারা মাটি ভরাট করছে এ বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন জানে না- এটা হতে পারে না।’- আড়িয়াল বিল পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসককে বলেন, ‘ড্রেজার যেন আড়িয়াল বিলে আর না- আসে আপনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং নিয়মিত তদারকি করবেন।’ এ ছাড়া ২০ দিন পর পর রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে আড়িয়াল বিল সম্পর্কিত উপস্থাপনা ও ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পলি পড়ে, পদ্মার প্রবাহ কমে গিয়ে এই অঞ্চলের খালগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু যখন খাল খননের কথা বলবো তখনই আপনারা হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দেবেন। হাজার কোটি টাকা এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। আমরা দিতে পারছি না।’ কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
আড়িয়াল বিলে কোনও আবাসন কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে না বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া ব্রিফিংয়ে প্রশাসনের অনুমোদনবিহীন ও পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনকে।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিরুল হক ভূঁইয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিং শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কাঠের নৌকায় চড়ে আড়িয়াল বিল পরিদর্শনে যান।