ষ্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গিবাড়ী থেকেঃ
টঙ্গীবাড়ীতে এক সালিশ বৈঠকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা ও প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামি-ভাগ্নেকে ২০টি করে ৪০ দোররা দিয়েছে গ্রাম্য সালিশরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার ব্রাহ্মণভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ে শত শত গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে রাউৎভোগ গ্রামের নুরু মোল্লার স্ত্রী আকলিমা (২৮) ও ভাগ্নে ইকবাল (৩০) কে এ সাজা দেয়া হয়।
এছাড়া নুরু মোল্লা ও তার স্ত্রীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের জন্য বাড়ি ছেড়ে দেশান্তরি হতে এবং ইকবালকে ৭ দিনের ভেতর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার রায় দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, নুরুর স্ত্রী আকলিমার (২৮) সঙ্গে তার লম্পট ভাগ্নে ইকবাল (৩০) ৬ বছর ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে আছে। ১১ই মে দুপুরে নুরুর ঘরে দরজা লাগিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় আকলিমা ও ইকবালকে বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকার মেম্বারসহ স্থানীয়রা বিচার ব্যবস্থা করার কথা বলে আকলিমাকে তার পিতা দেলু শেখের বাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া গ্রামে পাঠিয়ে দেয়।
১৮ই মে আকলিমা পিতার বাড়ি থেকে ইকবালের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ইকবাল ও আকলিমাকে মোবাইল ফোনে ভয় ভীতি ও সামাজিকভাবে উভয়ের বিয়ের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে এলাকায় উপস্থিত করে সালিশরা। শুক্রবার রাতে শত শত লোকের সম্মুখে বেত দিয়ে পিটিয়ে তাদের দেয়া রায় কার্যকরী করে গ্রাম্য মোড়লরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধীপুর গ্রামের নবনির্বাচিত মেম্বার জাহাঙ্গীর খান, হুমায়ুন মেম্বার, তারা মেম্বার, কালাম পাইক ও মালেক শেখসহ এলাকার সালিশগণ।
এ বিষয়ে নুরু জানান স্ত্রী ও ভাগ্নের অপরাধে তাকে ভিটে বাড়ি ছাড়তে হবে আবার জরিমানাও দিতে হবে এটা কেমন বিচার।
এ ব্যাপারে সালিশের বিচারক জাহাঙ্গীর জানান, মামি ভাগ্নের অবৈধ সম্পর্কের জন্য তাদেরকে দোররা মারা ও জরিমানা করা হয়েছে।