মুন্সিগঞ্জ ৯ নভেম্বর, ২০১৯, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা চরাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকার সরকারী জমির মাটি কেটে বিক্রি করার ধুম পরেছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ ধলেশ্বরী নদীর পার সংগ্লগ্ন সরকারী খাস জমির ওই সমস্ত মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে দূর্বত্তরা।
প্রতিদিন ভোর রাত হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলার রেখে ওই নদীর পারের সরকারী বিস্তির্ণ খাস জমির মাটি লেবার দিকে কাটিয়ে ট্রলারে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেতকা চরাঞ্চলের রায়পুড়া মৌজার বিস্তির্ণ চরাঞ্চলের মাটি কেটে ইতিমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছে ভূমিদস্যুরা। স্থাণীয় ভূমিদস্যুদের পাশাপাশি সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর গ্রামের আলমেছ হলই এর ছেলে আলাউদ্দিন রাতের আধারে একাধিক ট্রলারসহ কয়েকশত শ্রমিক নিয়ে এসে ওই চরাঞ্চলের খাস-জমির মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তার সাথে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসায় স্থানীয়রা কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
স্থানীয় কৃষকরা ওই সমস্ত সরকারী জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ভূমিদস্যুরা জমি হতে মাটি কেটে নেওয়ায় জমিগুলো অনাবাদি জমিতে পরিনত হচ্ছে। এতে ওই অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এছাড়া উপজেলার সুন্দরগঞ্জ গ্রামের গণি দেওয়ানের ৩ ছেলে আইয়ূব আলী দেওয়ান, হাসেম দেওয়ান, অধম দেওয়ান, সেলিম খান, শামীম খান সরকারী জমির মাটি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইঁটভাটায় বিক্রি করছে।
ওই ঘটনাস্থলে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অধম দেওয়ান গংরা ঘটনাস্থল হতে কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় শামীম খান উপস্থিত থেকে জমি হতে মাটি কেটে বিক্রি করছে। শ্রমিকরা শামীম খানের দেখিয়ে দেওয়া স্থান হতে মাটি কেটে ট্রলারে তুলছে। এ ব্যাপারে শামীম খানের সাথে কথা হলে সে তার নিজ জমি হতে মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার কতিপয় ওই সমস্ত ভূমিদস্যু ছাড়াও সিরাজদিখান উপজেলার দোসরপাড়া এলাকার লোকজন প্রতি রাতে ট্রলার নিয়ে এসে রাতের আধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ১৫-২০টি ট্রলার নিয়ে আসে ভূমিদস্যুরা। এ সমস্ত ট্রলারে মালিকের লোকজন ছাড়াও থাকে কয়েক শত শ্রমিক ও দেশীয় অস্ত্র। ফলে এলাকাবাসী তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
এ ব্যাপারে বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম শিকদার বাচ্চু জানান, মাটি বিক্রি চলছে শুনেছি আমি খোজঁ নিয়ে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিবো।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) উছেন মে জানান, আমি খোজঁ নিয়ে ব্যাবস্থা নিচ্ছি।