২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৩:১৯
গজারিয়া কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের পাইলিংয়ের কাজে অনিয়ম
খবরটি শেয়ার করুন:

দেশে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়ায় প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণকাজ চলছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ, নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মাঝে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সরজমিনে অনিয়মের খববের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

প্রতিষ্ঠিানটির নির্মাণ কাজের ভিত্তির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে প্রি-কাস্ট কংক্রিট পাইল। প্রতিটি ফুটিং-এ ব্যবহার করা হচ্ছে তিনটি করে পাইল যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট হওয়ার কথা রয়েছে কার্যাদেশ পত্রে। তবে দেখা যায় ৪৫ ফুট পাইলের কোনটি মাটিতে মাত্র ১৭ ফুট, কোনটি বা ২৪ ফুট বা ৩০ ফুট পুঁতা হচ্ছে। পাইলের বাকী অংশ কেটে উপর থেকে সমান করা ফেলা হচ্ছে। প্রয়োজনের চেয়ে কম গভীরতা থাকলে কাঠামোর স্থায়িত্ব আর কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে।

এছাড়াও যে পাইল ব্যবহার করা হচ্ছে তাও নিন্মমাণের যা হাতুড়ির সামান্য আঘাতে মাটিতে প্রবেশের পরিবর্তে ফেটে বা ভেঙ্গে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে পাইলগুলো পরস্পর সমান্তরাল আর সোজা থাকার কথা থাকলেও আদতে দেখলে মনে হবে বেকে একটি অপরটির উপরে উঠে গেছে।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, পাইলগুলো মিস গাইডেড হয়েছে এবং পাইলের ড্রাইভ ও প্লেসমেন্ট সঠিক হয়নি। এর উপর নির্মাণ কাজ করলে তার স্থয়িত্ব হবে কম। আবার যেকোনো সময় তা ধসেও পড়তে পারে।

পাইলিংয়ের দায়িত্বে থাকা শ্রমিকদের একজন আমিনুল ইসলাম বলেন, মাটির স্থর অনেক শক্ত হওয়ায় পাইল মাটির গভীরে ঢোকানো বেশ কষ্টকর। পাইল ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি কোম্পানির ব্যাপার যেরকম পাইল দিয়েছে আমরা তাই দিয়ে কাজ করছি।

স্থানীয় প্রকৌশলীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যে পাইল ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিন্মমানের। পক্ষান্তরে ৪৫ ফুটের স্থলে যদি ১৭-২৫ ফুট গভীরে হয় তা কোনভাবেই সঠিক পরিমাণ লোড বহন করতে পারবে না। আর মাটির স্থর শক্তের দাবীর ব্যাপারে তারা বলেন, মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে পাইল ডিজাইন করা হয়। মাটি শক্ত হলে তা সয়েল টেস্টের সময় ধরা পড়তো।

এ বিষয়ে জানতে সাইট অফিসে গিয়ে নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালী কন্সট্রাকশন লি: এর নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়। তবে তিনি সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

সরজমিন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইউসুফকে পাওয়া যায় তবে তিনিও নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

error: দুঃখিত!