১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | দুপুর ১:৪১
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
ক্লিনিকে রোগী ধর্ষণ, টাকায় সমঝোতা!
খবরটি শেয়ার করুন:

বড়লেখা পৌরশহরের সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করাতে গিয়ে টেকনিশিয়ানের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মধ্যবয়সী স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী। বিষয়টি অবহিত করলে প্রভাবশালীদের চাপে চুপ হয়ে গেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এদিকে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও ধর্ষক টেকনিশিয়ানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেছেন এক ইউপি সদস্য। পরে নারীর সম্ভ্রমহানির মূল্য ২৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোগীর সম্ভ্রমহানীর ঘটনা জানাজানি ও ধামাচাপা দেয়ার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়।

ধর্ষিত ওই নারী (৪০) বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাহাড়ি ডিমাই এলাকার বাসিন্দা।

সূত্রমতে, গত ১৮ আগস্ট চিকিৎসকের উপদেশ মতে এক্স-রে করাতে শহরের সুরমা ডায়াগনস্টিক সেণ্টারে যান। এক্সরে ল্যাবরেটরিতে গেলে টেকনিশয়ান গৌছ উদ্দিন (১৯) রোগীর স্বামীর উপস্থিতি জানতে চান। স্বামী সঙ্গে নেই নিশ্চিত হয়ে রোগীকে জানান, এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে যৌনমিলন করা প্রয়োজন। এরপর এক পর্যায়ে ওই মধ্যবয়সী নারীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন ওই টেকনিশিয়ান।

গত ২১ আগস্ট এক্স-রে রিপোর্ট দেখাতে গিয়ে রোগীনি ধর্ষণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে অবহিত করেন। ঘটনা শুনে চিকিৎসক বিষয়টি সেন্টারের পরিচালক ওলিউর রহমানকে জানান। এরপর তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। পরামর্শ মোতাবেক ওই রোগী পুলিশকে জানালে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশ। তবে এরপর থেকে অদৃশ্য কারণে তারা থেমে যায়।

এদিকে, মামলা না করার জন্য ওই রোগীকে চাপ প্রয়োগ করেন এলাকার ইউপি সদস্য সৈয়দ লুৎফুর রহমান। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সালিশে ঘটনাটি মীমাংসা করেন। রোগীর সম্ভ্রমের দাম নির্ধারণ করে দুদফায় তার হাতে ২৭ হাজার টাকা তুলে দেন।

জানতে চাইলে সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ওলিউর রহমান জানান, এক্স-রে থিয়েটারে কোনো নারী কর্মী নেই। তাই টেকনিশিয়ান গৌছ উদ্দিন নিজ হাতে নারীর কাপড় খুলে দিয়েছিল। তবে চিকিৎসক ও নারীর কাছ থেকে এক্স-রে করার নামে কৌশলে ধর্ষণ করা হয়েছে- এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গৌছকে চাকরিচ্যুৎ করা হয়েছে।

ইউপি সদস্য সৈয়দ লুৎফুর রহমান ঘটনাটি মীমাংসা হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে টাকা প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে লিখিত কোনো কিছু পাইনি। তবে ঘটনা শুনে এসআই কামালকে সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে প্রাথমিক খোঁজখবর নেয়া হয়েছে।

error: দুঃখিত!