১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ১২:৪০
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
‘কিনলে কেনেন, না কিনলে নাই’
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩ এপ্রিল, ২০২২, সাইফুল ইসলাম শিথিল (আমার বিক্রমপুর)

রোজা শুরুর আগেই মুন্সিগঞ্জ শহর বাজারে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। দুইদিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এগুলো হলো- মুড়ি, বেগুন, লেবু, শসা, রসুন, সয়াবিন তেল।

গতকাল শনিবার মুন্সিগঞ্জ শহরের কাচাঁবাজারে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ছিল ৮০ টাকা। দুইদিন আগে যা বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকা কেজিতে। দুইদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়েছে। কেজি প্রতি শসা দুইদিনের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। কেজি প্রতি রসুন ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খিড়াই বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। কেজি প্রতি ৬০ টাকার মুড়ি ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। প্রতি হালি লেবু ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি লবণ দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। ৫ লিটার তেল দুইদিন আগে ছিল ৭৫০ টাকা যা গতকাল বিক্রি হয় ৭৬০ টাকায়। গতকাল শহর বাজার ঘুড়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। রোজাকে কেন্দ্র করে ক্রেতারা এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনছেন। এর প্রভাবে দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কারন হলো, রোজার আগে এসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এদিকে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে টমেটোর। প্রতিকেজি ৩০ টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। কয়েকদিন যাবত দাম অপরিবর্তিত আছে ছোলার। যা কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৭০-৭২ টাকায়। এছাড়াও কেজি প্রতি চিনি ৭৫ টাকা, বেসন ৭০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, পেয়াজ ২৮ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা। মানভেদে কেজি প্রতি খেজুর ১২০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের ফলবাজারে আকার ভেদে ৬০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে তরমুজ। বরিশাল থেকে আনা এসব তরমুজ আসে মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায়। সেখান থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। দুদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি মাল্টা ফল ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ১৮০ টাকার আপেল ফলের দাম বাড়েনি। তবে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আঙ্গুর ফলের দাম ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রতি কেজি গরুর মাংস দুইদিন আগে ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেসরকারি চাকরিজীবী সিফাত হোসেন জানান, গতকাল সকালে বেগুন কিনতে গিয়েছিলাম মুন্সিগঞ্জ শহর বাজারে। কয়েকটি দোকান ঘুড়ে দেখি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কম রাখবে না। সব বিক্রেতাদের একটিই কথা-‘কিনলে কেনেন, না কিনলে নাই’।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন জানান, বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মনিটরিং আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। রোজা শুরুর আগেই বেড়ে গেছে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এখনো যদি কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে পরিস্থিতি খারাপ হবে।

কাঁচাবাজারের দোকানদার রহমত উল্লাহ জানান, রোজা উপলক্ষে বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহতে ঘাটতি নেই।

আওলাদ হোসেন নামে একজন বিক্রেতা জানান, সয়াবিন তেল চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সরবরাহ আসছে না। যার কারণে দুইদিনের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ জানান, ঢাকার কাওরান বাজার থেকে ৭০ টাকা কেজি প্রতি বেগুন ক্রয় করে ক্রেতাদের কাছে ১০ টাকা লাভে বিক্রি হয়েছে। কাওরান বাজার থেকে বেগুনের রশিদ খতিয়ে দেখা হবে। গতকাল তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মারুফ জানান, প্রতিদিন জেলায় বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামের থেকে বেশি রাখা হলে জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানকালে বিক্রেতাদের ক্রয় রশিদ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রোজাকে সামনে রেখে মানুষকে কষ্ট দিয়ে পণ্য বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে তাকে জরিমানা করা হচ্ছে।

error: দুঃখিত!