মুন্সিগঞ্জ, ১৮ এপ্রিল, ২০২০, মামুনুর রশীদ খোকা (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে করোনা রোগীর চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।
করোনার এপিসেন্টার নারায়ণগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এ জেলার ৫০ শয্যার এ আইসোলেশন সেন্টারে নেই ভেন্টিলেটশনের ব্যবস্থা। নেই আইসিইউ কিংবা সিসিইউ পর্যন্ত। শুধু মাত্র অক্সিজেনের সামান্য ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়েই করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টারটি।
আবার জেলার একমাত্র এ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের চিকিৎসায় একজন ডাক্তার করোনা রোগীর ভরসা হয়ে থাকবেন। কেননা- ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও আরো একজন আয়া চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মুন্সিগঞ্জে নতুন করে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল সাত দিনে জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। অথচ একজন করোনা আক্রান্ত রোগীরও ঠাঁই হয়নি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা রোগীর চিকিৎসায় গেল ৮ এপ্রিল আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত চালু করা হয়। করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত রয়েছে সেন্টারটি। তবে সেখানে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ১৮ চিকিৎসকের মধ্যে প্রতিদিন একেকজন করে চিকিৎসক করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া আইসোলেশন সেন্টারে একজন নার্স ও আরো একজন নার্সও থাকবেন রোগীর চিকিৎসার সেবায়। তবে এই আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তির পর কোন রোগীর শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে তাৎক্ষনিক ঢাকায় উন্নত চিকিৎসায় পাঠানোর জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার চিকিৎসা খাতের এ শীর্ষ কর্তাব্যক্তি।
তিনি আরো জানান, আপাতত কোন করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসার জন্য ৫০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রাখা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলা সদরের বাইরে ৫ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ৫ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে রাখা হয়েছে।