মুন্সিগঞ্জ, ১১ মার্চ, ২০২০, আরিফ হোসেন হারিছ (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা ও ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ উপজেলার আকবরনগর এলাকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের হোতা কাশেম নেতা ও সুরুজ জামানের নেতৃত্বে তাদের পালিত ক্যাডার বাহিনী প্রকাশ্যে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাশেম ও সুরুজ জামান গ্রুপের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডারদের দিয়ে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাদাবাজী, অস্ত্রবাজী ও এলাকার একাধিক পরিবারকে ঘর-বাড়ী ছাড়া করা সহ কয়েকটি নিরীহ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে।
নিরীহ মানুষের প্রতি অন্যায় অত্যাচার, জোর, জুলুম করা সহ ঘুষ, দুর্নীতি ও টেটা বল্লম যুদ্ধই তাদের মুল পেশা। অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে এলাকায় ত্রাসের এক নরক রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এহেন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের হাত থেকে পরিত্রান চায় এলাকাবাসী।
ইতিপূর্বে গত ৫/৩/২০২০ প্রকাশ্যে অস্ত্র বের করে গোলাগুলির নেতৃত্ব দেয় সুরুজজামান।
খলিল হত্যা, জয়নাল মন্ডল হত্যা, তকবির হত্যার নেতৃত্ব ও অস্ত্র যোগানদাতা কাশেম নেতা এই সুরুজ জামান গ্রুপ।
এ বিষয়ে কাশেম তার সেলফোনে বলেন, আকবর নগরে সংঘর্ষ হওয়ার কথা ছিল, ফতুল্লাহ থানা, কেরানীগঞ্জ থানা ও সিরাজদিখান থানা পুলিশের তৎপরতায় বন্ধ হয়েছে। আমি দুইটি ইটভাটা চালাই। আমি কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত নই।
অপরদিকে সুরুজ জামানের সেল ফোনে না পেলেও কাশেম জানান, সুরুজ জামানও দুটি ইটভাটার মধ্যে একটি পার্টনার দিয়ে চালায় অপরটি নিজে চালায়। সিরাজদিখান বালুরচরের কোন ঘটনার সাথে আমরা জড়িত নই।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মোক্তার হোসেন জানান, কাশেম নেতার গ্রুপের অস্ত্রধারী ক্যাডার সুরুজ জামান তার লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র সহ আমার ওপর হামলা করে এবং আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাই অবৈধ অস্ত্রধারী ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনার জন্য।