২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | সকাল ৬:৫৩
একনজরে মুন্সিগঞ্জ শহর পৌরসভার প্রার্থীদের হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যসমূহ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ গত পাঁচ বছরে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে বিএনপির প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এ কে এম ইরাদতের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে। গতবার ও এবার জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফয়সাল ও ইরাদত ছাড়াও এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ ও ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কমিটির জেলা সভাপতি রেজাউল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মহিউদ্দিন ব্যাপারি নির্বাচন করছেন।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ ৪ লাখ ১৬ হাজার ৪৮০ টাকা ছিল। এবার তাঁর নগদ টাকা ১ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৪ টাকা বেড়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৭০০ টাকা। এবার নিজের নামে টাকা নেই, স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ২৫ লাখ টাকা রয়েছে। গতবার তাঁর স্ত্রীর নামে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল। এবার নিজের একটি রঙিন টেলিভিশন, দুটি পাখা ও একটি মোটরগাড়ি রয়েছে। গতবারের মতো এ বছরও তাঁর স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। অকৃষি জমি গতবার ছিল না। এবার তাঁর ৩০ দশমিক ২৫ শতক অকৃষি জমি রয়েছে। গতবার তাঁর তিনটি দোকান ছিল; এবার আছে চারটি। পাঁচ বছর আগে সোনালী ব্যাংকে তাঁর ৯ কোটি ৫২ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকে ১২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা ঋণ ছিল। এবার তাঁর কোনো দায়-দেনা নেই। গত বছর পেশা হিসেবে তিনি পরিচালক, ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যার লিমিটেড বারিধারা, ঢাকা উল্লেখ করেছিলেন। এবার পেশা হিসেবে একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী হিসেবে দেখিয়েছেন। ফয়সাল স্নাতক পাস।
বিএনপির প্রার্থী এ কে এম ইরাদতের অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে পাঁচ বছর আগেও নগদ টাকা ছিল না; এবারও নেই। গতবার তাঁর স্ত্রীর শুধু পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। এবার তা ছয় ভরি। এবার স্ত্রীর নামে ঢাকার প্রাইম ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকা সঞ্চয় (এফডিআর) রয়েছে। একই ব্যাংকে স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র রয়েছে আরও ১০ লাখ টাকার। ইরাদত গত পাঁচ বছর মেয়র হিসেবে সম্মানী বাবদ বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেয়েছেন। গতবার কৃষি খাতে আয় ছিল না। এবার এ খাত থেকে বছরে ১০ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন। গতবার তাঁর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে বছরে ৬০ হাজার টাকা আয় ছিল। ব্যবসায় ছিল বছরে ৯০ হাজার টাকা। এবার তাঁর ব্যবসার আয় নেই। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে আয় কমে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এবার কৃষিজমি ১২ শতাংশ দেখানো হয়েছে। ইরাদতের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। পেশার ঘরে তিনি লিখেছেন স্বনির্ভর।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল ইসলামের নগদ ৩০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণালংকার রয়েছে ২০ ভরি। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। পেশার ঘরে তাঁর গ্লোবাল ট্রাভেলস এয়ারওয়েজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এইচএসসি পাস।
বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মহিউদ্দিন ব্যাপারির নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর বছরে আয় ৭০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ টাকা ও কৃষি খাত থেকে আয় ২০ হাজার টাকা। তিনি স্বশিক্ষিত।

error: দুঃখিত!