২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলের সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি ও সায়মন। অবশেষে ছবিটি ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এ নিয়ে ঈদে ছবির সংখ্যা দাঁড়ালো তিন।
‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শন ও সম্প্রচারের ওপর হাইকোর্টের ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে দেওয়া স্থগিতাদেশের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা রিটকারী পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনে আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ইউসুফ হোসেন হুমায়ন। ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক শামীমা আকতারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও এ এম আমিনউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠন ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতির গত ২০ আগস্ট করা রিট অাবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৪ আগস্ট ‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শন ও সম্প্রচারের ওপর ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সেন্সর বোর্ডের দেওয়া সনদের কার্যকারিতাও ওই সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
‘রানা প্লাজা চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের দেওয়া সনদ কেন বাতিল করা হবে না’ জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক শামীমা আকতারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন প্রযোজক শামীমা আকতার।
এ আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশ ছয়মাসের জন্য স্থগিত করেন।
পরে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শন ও সম্প্রচারের ওপর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনটি পাঠিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ রিভিউ আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ চূড়ান্তভাবে স্থগিতই রাখলেন।
দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গত ১৬ জুলাই ‘রানা প্লাজা’র সনদপত্র দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শামীমা আকতার প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
আদালতে বিভিন্ন পর্যায়ের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ম মোখলেছুর রহমান। ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক শামীমা আকতারের পক্ষে ছিলেন রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও এ এম আমিনউদ্দিন। আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।