মুন্সিগঞ্জ, ৪ মে, ২০২০, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
অবশেষে মুন্সিগঞ্জের দিঘিরপাড় তদন্ত কেন্দের ইনচার্জ জিল্লুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো ওই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ।
জেলা পুলিশ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তাকে তদন্তকেন্দ্র থেকে বদলি করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেছেন।
সোমবার (৪ মে) সন্ধ্যায় টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জিল্লুর রহমানকে বদলি করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সেখানে টংগিবাড়ী থানায় কর্মরত ইন্সপেক্টর (অপারেশন) উপপরিদর্শক আজিজুর রহমানকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিঘীরপাড় চরাঞ্চলে চলাচল করা অবৈধ মোটরসাইকেল থেকে প্রতি মাসে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগসহ অবৈধ জাটকা মাছ পাচারে সহযোগিতা করা, করোনার কারণে লকডাউনের সময় দিঘীরপাড় ও কামারখাড়া বাজারে টাকার বিনিময়ে দোকান খোলার অনুমিত দেওয়া, মাদক চোরাকারবারিদের আটক করে সময়মতো আদালতে না পাঠিয়ে তদন্তকেন্দ্রে রেখে দেনদরবার করা,মাদক কারবারীদের কাছ হতে মাসিক টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি চিহ্নিত শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গেও তার বেশ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এছাড়া সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল জাটকা পাচারে সহায়তা ও গ্রামপুলিশকে মারধরের ঘটনায় ওই তদন্ত কেন্দ্রের ৩ পুলিশকে ক্লোজড করা হয়।
তারা হলেন, এএস আই তাজউদ্দীন,কনস্টেবল দীপু মল্লিক ও কনস্টেবল মহসিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সুত্র জানায়, ওসি জিল্লুর রহমান, জাটকা ইলিশ পাচার, পদ্মা নদীর চরে যাত্রী পরিবহনে অবৈধ মটরসাইকেল চালাতে দিয়ে ওই সমস্ত মটর সাইকেল হতে মাসিক টাকা আদায়, টাকার বিনিময়ে মানুষের জমি দখল করে দেওয়া, মাদক কারবারীদের কাছ হতে মান্থলি টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলো। বিভিন্ন মহলে দিঘিরপাড় মাছ ঘাট হতে পদ্মার মাছ দিয়ে সে তার অপকর্মের পাড় পেয়ে যেতো।
এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, প্রশাসনের কার্যক্রমের স্বাভাবিক অংশ হিসাবে তাকে বদলি করা হয়েছে।