৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সকাল ৭:১৭
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
শ্রীনগরে বাড়ৈখালী-হাঁসাড়া সড়কে ড্রেজার পাইপে ঝুঁকি বাড়ছে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ আগস্ট, ২০২২, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মৃুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া-বাড়ৈখালী সড়কের শ্রীধরপুর কবরস্থানের সামনে সড়কের ওপর ড্রেজারের পাইপের সংযোগে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে।

গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ থাকার ফলে মাঝে মধ্যেই অটো ও মোটরসাইকেল আরোহীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বাড়ৈখালীর ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জনি ও ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ইলিয়াস সিন্ডিকেটের সদস্য জাহাঙ্গীর, মামুন, মিলন মাঝি, জহুরউদ্দিন, নজরুল, তুহিন, এরশাদ, মিজান, হেলালের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ড্রেজার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে।

এছাড়াও বাড়ৈখালী বৈশাখী সিনেমা হলের সামনে সাবেক যুবলীগ নেতা মিলনের নিয়ন্ত্রণে ১টি ও একই সড়কের হাঁসাড়া এলাকার উত্তর লস্করপুর সফত আলীর দোকানের সামনে যুবলীগ নেতা পলাশ ও অহিদুলের নিয়ন্ত্রণে ১টি ড্রেজার পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ড্রেজার সিন্ডিকেট মহলের লোকজন এ অঞ্চলের বিভিন্ন বসতবাড়ি, বাগানবাড়ি ও সড়ক ব্যবহার করে যত্রতত্রভাবে পাইপলাইনের সংযোগ দিচ্ছে।

প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ভয়ে ভুক্তভোগীরা এলাকায় মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ড্রেজার পাইপ অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ৈখালী এলাকার শ্রীধরপুর কবরস্থন ও মাদ্রাসার সামনে সড়কের ওপর ড্রেজার পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়ার ফলে রাস্তায় যানবাহন যাতায়াতে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় ২ ফুট সমান উঁচু করে সড়কে ড্রেজার পাইপ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বাড়ৈখালী সিনেমা হলের সামনে ও লস্কারপুর ব্যস্ততম সড়কের ওপরেও অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ সংযোগ করা হয়েছে। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা বলেন, ড্রেজারের বিকট শব্দে বাড়িতে শিশুদের লেখাপড়া ও ঘরে ঘুমে বিঘ্ন ঘটছে তাদের। বাড়ির উঠান ও বাগানবাড়িসহ যেখান সেখান দিয়ে জোড়পূর্বক ড্রেজারের পাইপলাইন টানা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা পলাশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

শ্রীধরপুর এলাকার ড্রেজার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মো. জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড্রেজার ব্যবসাটি অবৈধ আমি যানি। পাইপের কারণে সড়কে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে এটাও ঠিক। কি করবো? সাবেক যুবলীগ নেতা মিলনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন ড্রেজার ব্যবসা নেই। আমার ছোট ভাই মিজান এ ব্যবসা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ৈখালীর ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াছ বলেন, আমি গতবছর ড্রেজার ব্যবসায় ছিলাম। এ বছর আমি এখনো ড্রেজার ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়নি। সাবেক ইউপি সদস্য জনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো ড্রেজার চালু করি নাই। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে সড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ড্রেজার পাইপলাইন সংযোগ দেওয়া কতটা যুক্তিসংঙ্গত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদত্তোর দিতে পারেনি।

বাড়ৈখালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়ার কাছে এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

error: দুঃখিত!