একজন নারী হিসেবে পূর্ণতা পাওয়ার মূল বিষয়টি হচ্ছে নিজের গর্ভে সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা। কিন্তু বর্তমান যুগে নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ৩ জনের মধ্যে ১ জন নারী গর্ভধারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাই একটু সতর্কতা খুবই জরুরী। নারীদের একটু সতর্ক থাকা উচিত। কোনো ধরণের সমস্যা নজরে পড়লেই যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
১) ডিম্বাণু উৎপাদন কমে যাওয়া
নারীদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিম্বাণু তৈরির ক্ষমতা কমতে থাকে। এবং সুস্থ স্বাভাবিক ডিম্বাণুর পরিমাণ কমে যেতে থাকে। সে কারণে বয়স একটু বেশী হয়ে গেলে সন্তান ধারণ সমস্যা কমে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়। বিশেষ করে বয়স ৩৫ হয়ে গেলে অনেক কঠিন হয়ে যায় নারীদের সন্তান ধারণ করার বিষয়টি।
২) ওভুলেটিং সমস্যা
অনেক সময় ওভারিতে ডিম্বাণু পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি হতে পারে না। ওভারি সুস্থ সবল ডিম্বাণু তৈরি না করতে পারা বন্ধ্যাত্ব তৈরি করতে পারে। মাসিকে অনিয়ম হওয়া, মাসিক না হওয়া এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ওজন সঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রজনন সংক্রান্ত পরামর্শ নিয়ে ফার্টিলিটি ঔষধ সেবন করা উচিত।
৩) এন্ডোমেট্রিওসিস
এন্ডোমেট্রিওসিস সমস্যার কারণে অনেক সময় নারীরা সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারাতে পারেন। যখন এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু ইউটেরাসের পরিবর্তে দেহের অভ্যন্তরে অন্য স্থানে তৈরি হয় তখন এই সমস্যা দেখা দেয়। পেলভিক অংশে প্রচণ্ড ব্যথা, মাসিকের সময় খুবই অস্বাভাবিক ব্লিডিং থাকা এবং যৌন মিলনে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়ার সমস্যা অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
৪) পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম
যখন ওভারির ভেতরের ছোট্ট ফলিকলগুলো বড় হওয়া ও পরিপূর্ণ হওয়া বন্ধ করে দেয় তখন এই সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার পেছনের মূল কারণ হচ্ছে হরমোনের ভারসাম্য না থাকা। অজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া, দেহ ও মুখের লোম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়া এবং অনিয়মিত মাসিক এই সমস্যার লক্ষণ।
৫) ফেলোপেন টিউব সমস্যা
আরও একটি সমস্যার কারণে নারীরা সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারাতে পারেন, তা হচ্ছে ফেলোপেন টিউব সমস্যা। অনেক সময় এই ফেলওপেন টিউব ব্লক এবং নষ্ট থাকলে সন্তান ধারণ ক্ষমতা গড়ে উঠে না নারীদের মধ্যে। যৌন মিলন সংক্রান্ত রোগ, পেলভিক ইনফ্লেমেটরি রোগ এবং স্টেরিলাইজেশন সার্জারির কারণে এই ফেলোপেন টিউব সমস্যা দেখা দেয় নারীদের মধ্যে।