মুন্সিগঞ্জ, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
জনপ্রিয় রাজনীতিক মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ মাসুদ রানার সাংগঠনিক পদ স্থগিতের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে মুন্সিগঞ্জ শহরে।
শনিবার রাত ৮টার থেকে হঠাৎ শত শত লোক জড়ো হয়ে সুপারমার্কেটে জেলা বিএনপি কার্যালয় অভিমুখে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে মুহুর্তেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রাতের শান্ত শহর মুন্সিগঞ্জে। এসময় পদ স্থগিতের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় রাত ১০টার সময়ও বিক্ষোভ করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
এসময় জেলা-সদর-শহর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা’র দলীয় পদ স্থগিত করা হলো এবং তদস্থলে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মুন্নাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুদ রানার স্থলে দায়িত্ব পাওয়া মোজাম্মেল হক মুন্নাকে ৩ মাস আগে জুন মাসে ‘স্বীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শনে’র অভিযোগে ১ মাসের জন্য দলীয় পদ স্থগিত করেছিলো যুবদল। পরে সেই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে মুন্নার বিরুদ্ধে প্রতারণা, কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেয়া এবং শারীরিক–মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্ত্রী পরিচয় দেয়া মৌসুমী হক নামের এক নারী। এর ১৯ দিনের মাথায় মুন্নাকে আরও বড় পদে বসালো যুবদল।
রাজনৈতিক সূত্রে আরও জানা গেছে, পদ স্থগিত জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ মাসুদ রানা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিনের অনুসারী ও মোজাম্মেল হক মুন্না বিবদমান মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনে অপর দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতনের অনুসারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, সাধারণত এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অন্তত কারনটাও জানানো উচিৎ। কিন্তু আমি জানিনা আমার ভুল কোথায় হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে- গত ১ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির আহবায়ক মিজানুর রহমান সিনহা ও সদস্য সচিব মো, মহিউদ্দিনের উপস্থিতিতে শহরে যে কর্মসূচি হয়েছিলো সেখানে আমি যুবদলের ব্যানার নিয়ে উপস্থিত থাকায় প্রতিপক্ষের কেউ সূক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করে আমাকে দমানোর চেষ্টা করছেন।