১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | বিকাল ৩:১৭
মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেই, বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৮ আগস্ট ২০২৫, সীমান্ত হাসান রাকিব (আমার বিক্রমপুর)

বর্ষাকালে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের ঘটনা বাড়লেও মুন্সিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকা (অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন বা এআরভি এবং র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন বা আরআইজি) নেই।

জেলার পাঁচটি উপজেলা ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন কুকুর, বিড়াল বা শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত প্রায় ৩০ থেকে ৫০ জন রোগী ২৫০ শয্যা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন। কিন্তু টিকার অভাবে বেশিরভাগ রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাজার থেকে চড়া দামে টিকা কিনছেন, তবে দরিদ্র রোগীদের বেশিরভাগেরই এই ব্যয়বহুল টিকা কেনার সামর্থ্য নেই।

আক্রান্ত রোগীদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও, এখন নিজের টাকায় কিনতে গিয়েও তা পাওয়া যাচ্ছে না।

মুন্সিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা শাকিল তালুকদার বলেন, যদি কোনো দরিদ্র মানুষ কুকুর বা বিড়ালের কামড়ের শিকার হন, তখন তাদের পক্ষে বাইরে থেকে এত টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনা সম্ভব নয়। ফলে তারা চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা তাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

স্থানীয় শেখ আকাশ বলেন, একটি জেলা সদর হাসপাতালে এ ধরনের সংকট কোনোভাবেই কাম্য নয়, দ্রুত পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি জানাই। পাশাপাশি গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।

নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, জলাতঙ্ক টিকার অভাব মানেই রোগীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচিত জেলার প্রতিটি উপজেলায় আলাদা টিকা বরাদ্দ নিশ্চিত করা। বিশেষ করে বর্ষাকালে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের ঘটনা বেড়ে যায়, তাই এ সময় টিকার পর্যাপ্ত মজুদ অত্যন্ত জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২৫০ শয্যা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, যেটা বরাদ্দ দিয়েছিলো সেটা এখন ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে বরাদ্দ এখনো পাই নি। আমরা বরাদ্দর জন্য আবেদন করেছি, ওয়েট করছি। আপাতত রোগীরা কিনে নিয়ে আসলে আমরা দিয়ে দেই- আগে এটা আমরা ফ্রি দিতাম।