মুন্সিগঞ্জ, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
ঢাকা মাওয়া ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে পর্যটক ও প্রবাসীদের টার্গেট করে ডাকাতিতে জড়িত ৮ ব্যক্তিকে আটকের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, আটক ব্যক্তিরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
আটকদের কাছ থেকে লুটকৃত একটি বিদেশী পিস্তল (লাইসেন্সকৃত), ২৮ রাউন্ড গুলি, মোবাইল ফোন, ব্যাগ, ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার।
অন্য একটি ডাকাতি মামলার সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে মাওয়া ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শ্রীনগর যশুরগাও এলাকায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম হিলালির প্রাইভেটকার আটকে লাইসেন্সধারী পিস্তল-গুলি, মোবাইল ফোন, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনায় গতকাল ৬ জনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালি উপজেলার টিলা এলাকার মৃত ফজল আলীর পুত্র কামাল পহলান ওরফে সিএনজি কামাল (৪২), বরিশালের মুলাদি উপজেলার খৈলারচর এলাকার মৃত হাছেন ওরফে হাচানের পুত্র আলমগীর সিপাহী (৪৫), একই জেলার হিজলা থানার কালু দেওয়ানের পুত্র হেলাল দেওয়ান (৪৫), মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার নেছার উদ্দিন হালদারের পুত্র রাজিব হাওলাদার (৪৩), ফরিদপুরের সদরপুর থানার শেখ সাত্তারের পুত্র মোখলেছ ওরফে সুমন (২৩)।
পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের মেঘনা ব্রিজের উপর চায়না নাগরিক লিও ও ব্যবসায়ী তাজউদ্দিন সিহাব ডাকাতির শিকার হন। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার তেতৈইতলা এলাকার আ. রহিমের পুত্র রাহাত মিয়া (২১) ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার হারুনের পুত্র মো. শাহিন (২২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। তবে তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা হলেও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে দেখা যায়নি।