১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৮:৩৪
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, গজারিয়া প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামে আগের দিন সন্ধ্যায় ইমাম নিয়ে বিতর্কের পরের দিন সকালে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষদের মনে। স্বজনরা বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের বিচার দাবি করেছেন।

নিহতের নাম বাহাদুল্লাহ মোল্লা (৫০)। সে চর কুমারিয়া গ্রামের জলিল মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় চর কুমারিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

এদিকে আজ (রোববার) সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাহাদুল্লাহ মোল্লা পেশায় একজন মুদি দোকানি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছয় সন্তানের জনক। পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই জীবন যাপন ছিলো তার। তিনি স্থানীয় চর কুমারিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গত প্রায় ১৫দিন ধরে মসজিদের বর্তমান ইমামকে রাখা না রাখার ব্যাপারে মুসলিরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েন। কিছু মুসল্লি বর্তমান ইমামকে বিদায় করে দেওয়ার পক্ষে আর কিছু মুসুল্লি তাকে রাখার পক্ষে অবস্থান নেন।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমামকে রাখার পক্ষে অবস্থান নেন।

পরিবারের দাবি, সর্বশেষ গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে আটটার দিকে বাহাদুল্লাহ মোল্লাকে মুঠোফোন কেউ একজন বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। তারপরে তিনি আর বাসায় ফিরেননি, দীর্ঘ সময় তার খোঁজখবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরবর্তীতে রোববার সকালে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার আম বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় লোকজন। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

এদিকে নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম বলেন, আমার স্বামীর আত্মহত্যা করার কোন কারণ নেই। আমাদের অনেক সুখের সংসার ছিল। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

নিহতের মা খবিরন নেছা তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে দাবি করে বলেন, যাদের সাথে তার ঝামেলা হয়েছে আর যারা তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই কে হত্যাকারী তা জানা যাবে।

গজারিয়া থানার এসআই সেকান্দার আলী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করি। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর আগে কোন মন্তব্য করতে চাই না।

error: দুঃখিত!