মুন্সিগঞ্জ, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
জেসি হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিজয়কে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রিমান্ডের প্রথমদিনে গতকাল সোমবার পুলিশের একটি কক্ষে নানারকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বিজয়কে। এসময় বেরিয়ে এসেছে আরও নানারকম তথ্য।
এদিন সকাল থেকেই বিজয়কে জেসি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিভাবে জেসিকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নতুন আরও কোন তথ্য বেরিয়ে আসে কি না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
জেসিকে বিজয় ও আদিবা কে কিভাবে মেরেছে, কার কি ভূমিকা ছিলো, ঘটনার আগে-পরে কেউ আছে কি না, কি কারণে হত্যা করা হয়েছে এসব বিষয় জিজ্ঞাসাবাদে কোন ত্রুটি রাখছে না পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, জেসি হত্যাকান্ডটি সারাদেশে আলোচিত বিষয়। তাই পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে এই মামলাটি তদারকি করছে। মামলার এফআইআরে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর সূত্র ধরে ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পুলিশ।
থানায় সতর্কতা
জেসি হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিজয় রহমানকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় রাখা হয়েছে বিশেষ সতর্কতায়। যাতে বিজয়ের সাথে কেউ দেখা করতে না পারে সেজন্য এই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
সিসিটিভিতে মনিটর করা ছাড়াও একাধিক স্তরের নিরাপত্তা রাখা হয়েছে এ ব্যাপারে। সদর থানার পুলিশ কনস্টেবল ছাড়াও অন্যত্র দায়িত্বে থাকা আরেক কনস্টেবলকেও বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সার্বক্ষণিক মনিটরের জন্য।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোমবার বিজয়ের সাথে কথা বলেছেন। তিনি প্রথম থেকেই মামলাটি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিজয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৌশলী হলেও সত্য এড়ানো সম্ভব হয়নি। উঠে আসে অজানা বিস্ময়কর নানা তথ্য।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বিজয়কে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও পুলিশও বিজয়ের অবস্থান সনাক্তে ভূমিকা রাখে। এক রকম একটি টিম ওয়ার্কে আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেই বিজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোবাইল ভেঙে ফেলে বিজয়
গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলে বিজয়। তার সাথে কোন মোবাইল ডিভাইস থাকলে পুলিশ লোকেশন জেনে যাবে এমন ভাবনায় বিজয় ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনার পরপরই মোবাইলটি বন্ধ করে দেয় বিজয়। এরপর মোবাইল তার সাথেই ছিল। তবে মোবাইল আর চালু করেনি।
সিরাজদিখানে বন্ধুর বাড়িতে চার দিন অবস্থানকালেও ফোনটি ছিলো তার সাথেই। এরপর বিজয় চলে যায় ফরিদপুর। সেখানে মাজারে থাকে টানা ২২ দিন। তবে ফরিদপুর গিয়েই সে মন স্থির করে তার প্রিয় ফোনটি আর সাথে রাখা ঠিক হবে না। বিজয় ফোনটি ভেঙ্গে চুরমার করে ছুড়ে ফেলে দেয়। ফোনটি কারো হাতে গেলে তার অবস্থান জেনে যাওয়া ছাড়াও ফোনের মধ্যে রয়েছে তার অপরাধকান্ডের নানসব ভিডিও ও ছবি। মোবাইল ফোনটি মাজারে চুরি হওয়ার আতঙ্কও ছিল তার। আর মোবাইলটি ওপেন করে এসব মুছে ফেলতে গেলেও তার লোকেশন অবগত হতে পারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এমন আতঙ্কে বিজয় ছিল দিশেহারা অবস্থায়। পরে সব প্রমাণ নষ্ট করতেই প্রিয় মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে চুরমার করে তারপর ফেলে দেয়। এরপর ফোনটির জন্য তার আফসোসও ছিল। এমন নানা কিছু উঠে আসে জিজ্ঞাসাবাদে।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, মোবাইল বিনষ্ট করার কারণে গ্রেফতার যেমন বিলম্ব হয়, তেমনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত, ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে গেছে। তবে তার মোবাইলের সাথে যুক্ত করা ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড উদ্ধারের চেষ্টা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
অটোতে করে সিরাজদিখানে পালায় বিজয়
জেসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর মুন্সিগঞ্জ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোতে করে সিরাজদিখান যায় বিজয়। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে সে ব্যাটারী চালিত অটোতে করে যায় সিরাজদিখান।
তার মোটরসাইকেল থাকা সত্ত্বেও দ্রুত পালানোর জন্য সেই ঝুঁকি না নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে কাছে যে যান ছিল সেটিতে করেই পালিয়ে যায় বিজয়। পথে বেতকায় তার প্রিয় নানা বাড়ি। নানা-নানী ছাড়াও অনেক আত্মীয় স্বজন রয়েছে সেখানে। ঐ এলাকাতে সে অতি পরিচিত মুখ। জানাজানি হয়ে যাবে, তাছাড়া পুলিশ তার নানা বাড়িতে অভিযান চালাতে পারে, এমন শঙ্কায় বিজয় বেতকার নানা বাড়ি যায়নি। সোজা চলে যায় তার বন্ধুর বাড়ি সিরাজদিখানে। অপরিচিত জায়গা।
সেখানে যেতে পারলে সকলের ভাবনার বাইরে থাকবে, এমন ভেবেই সিরাজদিখানে চলে যায় বিজয়। তখনো তার সাথে মোবাইল ফোনটি ছিল। তবে এক মুহূর্তের জন্যও ফোনটি খুলেনি। বন্ধুর বাড়িতে চারদিন থাকলেও সারাক্ষণ আতঙ্কে সময় কাটে তার, বন্ধুর বাড়ির লোকজনও ভয় পাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিজয় চলে যায় ফরিদপুরের মাজারে। সেখানে ভাসমান মানুষের মত দিন কাটায় সে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এসব তথ্য দিয়েছে বিজয়।
বহুল আলোচিত মুন্সিগঞ্জের স্কুলছাত্রী জেসি মাহমুদ (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিজয় রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। রোববার বিকাল পৌনে ৫টা’র দিকে জেসি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সিগঞ্জ সদর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলাম বিজয়কে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জসিতা ইসলামের আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে মেয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিজয় রহমান ওরফে বিজু গ্রেপ্তার হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নিহত জেসির বাবা প্রবাসী সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে হারিয়েছি। এখন আমার ছেলে ও স্ত্রী দেশে অভিভাবকহীন রয়েছে। তাদের নিরাপত্তার কথা আমাকে সবসময়ই ভাবতে হচ্ছে। র্যাবকে ধন্যবাদ জানাই তারা কৌশল অবলম্বন করে বিজয়কে ধরেছে। আমি এই হত্যাকান্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
সেলিম মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসামি বিজয়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রথম থেকেই এই মহলটি আসামি বিজয়কে পালানো থেকে শুরু করে আত্মগোপনে থাকা, এবং তাকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করে সক্রিয় রয়েছে। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তারে আমি সন্তুষ্ট।
তবে, এই হত্যাকারীদের শেল্টারদাতাদের যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চিহ্নিত করে জনসম্মুখে তুলে ধরে এটাই আমার দাবি।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা’র দিকে বিজয়কে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
বিজয়কে শনিবার রাজধানীর ওয়ারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে সে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলো। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে তার এক বন্ধুর বাড়িতে ৪ দিন, ফরিদপুরের একটি মাজারে ছদ্মবেশে ২২ দিন ও সর্বশেষ রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় আরেক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হয় বিজয়। ঐদিন দুপুরে ঢাকার কারওয়ানবাজারে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
এসময় তিনি জানান, শনিবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জেসি হত্যার আসামি বিজয় রহমান (২২) কে গ্রেপ্তার করে। বিজয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিজয় ২০১৯ সালে একই স্কুলে পড়ুয়া জেসি হত্যা মামলার অপর আসামি আদিবা আক্তার এর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। আদিবা আক্তার এর সাথে সম্পর্ক চলাকালীন সময় বিজয় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ভিকটিম জেসিকার সাথেও প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিজয় উভয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রেখে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদিবাকে গোপনে বিয়ে করে। পরে বিজয় ও আদিবার বিয়ের কথা জেসি জানতে পারে এবং বিজয়ের সাথে তার বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার কথোপকথনের স্ক্রীনশর্ট আদিবার মেসেঞ্জারে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে বিজয় ও আদিবার মাঝে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া-বিবাদ হলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে বিজয় আদিবার সাথে আলোচনা করে এবং ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি উভয়ে মিলে জেসিকে বিজয়ের বাসার ছাদে ডেকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করে। পূর্ব-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন বিকেলে আদিবা জেসির সাথে দেখা করলে বিজয়ের সাথে তার বিভিন্ন সময়ের কথোপকথোনের স্ক্রীনশর্ট দেখায় এবং এই সমস্যা মীমাংসা করার জন্য আদিবা জেসিকে বিজয়ের বাসার ছাদে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আদিবা ফোন করে বিজয়কে ছাদে আসতে বলে। এরপর সেখানে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে বিজয় ও আদিবা জেসির গলাটিপে ধরলে শ্বাসরোধ জেসি অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য জেসি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ার নাটক সাজানোর উদ্দেশ্যে বিজয় ও আদিবা মিলে জেসিকে অজ্ঞান অবস্থায় ছাদ থেকে নামিয়ে এনে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে বাসার ভিতরে চলে আসে। পরবর্তীতে পাশের বাসায় থাকা বিজয়ের চাচা জেসিকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করলে বিজয় এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাসা থেকে নেমে আসে।
একপর্যায়ে বিজয় এবং তার বাবাসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জেসিকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এসময় বিজয় জেসির ভাই জিদানকে জেসির অসুস্থতার কথা বলে হাসপাতালে আসতে বলে। জেসির ভাই হাসপাতালে এসে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। ঢাকায় নেয়ার পথে জেসি পুরোপুরি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পুনরায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর ঘটনা শুনে বিজয় ও আদিবা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জেসির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে জেসির ভাই জানতে পারে জেসিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে জেসির ভাই মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় বিজয় ও আদিবাসহ আরও ১-২ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা রুজুর পর ৪ জানুয়ারি আদিবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে বর্তমানে জেল-হাজতে রয়েছে।
২২ দিন ছদ্মবেশে মাজারে কাটায় বিজয়
মুন্সিগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় রহমান সরকারি হরগঙ্গা কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। জেসিকে হত্যার পর সে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে তার এক বন্ধুর বাড়িতে ৪ দিন আত্মগোপনে থাকে। সেখানে সে নিজেকে নিরাপদ মনে না করে পরবর্তীতে ফরিদপুরের একটি মাজারে ছদ্মবেশে ২২ দিন আত্মগোপনে থাকে। একপর্যায়ে তার সন্দেহ জাগে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষে এখানে অভিযান চালাতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে সে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাসায় এসে আত্মগোপনে থাকে। শনিবার রাতে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত জেসি মাহমুদ (১৭) মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাও এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে। সে আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাই স্কুলের এসএসসি বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো।