মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসারের দয়ালবাজার এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মারাত্মক যৌন নির্যাতনের শিকার ঐ শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে বুধবার সকালে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের দয়ালবাজার এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে অপরিচিত এক যুবক শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
শিশুটির মা দয়ালবাজার এলাকার একটি তাঁত তৈরির কারখানায় এবং বাবা ঢাকায় রিকশা চালায়। বরিশালের হিজলা উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে তাদের বাড়ি।
শিশুর মা জানান, মিলে যাওয়ার সময় তার শিশু মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যান। বুধবার সকাল ৬টায় আরবি পড়া থাকায় তাঁতের কারখানা থেকে তার শিশুকন্যা দয়ালবাজার এলাকার বাসায় রওনা দেন। তাঁতের কারখানা সংলগ্ন একটি দোকানের কাছে অপরিচিত এক বখাটে শিশু মেয়েকে ছোড়া দিয়ে ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি দ্বিতল ভবনের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, ধর্ষণের কথা জানালে শিশুর মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয় ঐ যুবক।
বুধবার রাতে মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে মায়ের চাপে শিশু কন্যা মুখ খুলে।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিত শিশুকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন জানান, আসামিকে সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. নাজ চৌধুরী জানান, শিশুটিকে অবশ্যই ধর্ষণ করা হয়েছে। যোনিপথ ছিড়ে গেছে এবং প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।