মুন্সিগঞ্জ, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সীমান্ত হাসান রাকিব (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের দশকানি ভুইয়াবাড়ির কাশিপুর এলাকায় প্রবেশ সড়কের মুখে প্রায় ২০০ মিটার অংশে প্রায়ই জলাবদ্ধতায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সড়কটির এই বেহাল দশায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী মানুষ ও রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চসার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দশকানি ভুইয়াবাড়ি থেকে চাম্পাতলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হয়। কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, নতুন এই সড়কটি এক বছরেরও কম সময়ে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক সময় যানবাহন উল্টে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
কাশিপুর, কেপিবাগ, দেওয়ানবাজার, রতনপুরসহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজারসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। মুন্সিগঞ্জ শহরে প্রবেশে প্রায় সময়ই যানজটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসা বিভিন্ন উপজেলার মানুষও বিকল্প পথ হিসাবে এ সড়ক ব্যবহার করে থাকেন।
এই পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী ইব্রাহিম বেপারি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এখানে একটি রিকশা উল্টে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা একপর্যায়ে গাছ ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন। তবে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার পর দিন সকালেই খুলে দেওয়া হয় রাস্তাটি। কয়েকজন মিলে নিজ উদ্যোগে ইট ফেলে সাময়িকভাবে ঠিক করার চেষ্টা করলেও বৃষ্টির হলেই পানি জমে থাকার কারণে তা টিকছে না।’
স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন বেপারী বলেন, ‘রাস্তা পুনর্নির্মাণের সময় ড্রেনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে পড়ে। রিকশাচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করলেও আবার অনেক রিকশা ঝুঁকি নিয়ে যেতে রাজি হয় না।
আব্বাস শেখ বলেন, ‘সব সময় এখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তারপরও ড্রেন ছাড়া রাস্তা নির্মাণ করায় বছর ঘুরতেই তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বলেন, ‘২০০ মিটার রাস্তা যেটার ২ পাশে ঘরবাড়ি থাকার কারণে পানি জমে থেকে কার্পেটিং নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা মেরামত করানোর জন্য অলরেডি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। অতি দ্রুত এটার কাজ আমরা সম্পন্ন করে জনসাধারণের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করব।’