মুন্সিগঞ্জ, ৩০ আগস্ট ২০২৫, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
৪ বছর পর সারা দেশে তারুণ্য উৎসবের ব্যানারে শুরু হয়েছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৮ কোটি টাকার বাজেটে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে দেশের ৬৪ জেলা দল।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মুন্সিগঞ্জ বনাম মাদারীপুর জেলার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী খেলায় মাদারীপুরকে ২-১ গোল ব্যবধানে হারায় স্বাগতিক মুন্সিগঞ্জ দল।
জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পৃষ্ঠপোষকতায় এ টুর্নামেন্টে ৬৪ জেলা দলকে ৮টি প্লটে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি প্লটের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা শেষে দ্বিতীয় পর্বে উঠবে ৩২ দল। এরপর তৃতীয় পর্বে টিকবে ১৬ দল, যেখান থেকে শুরু হবে নকআউট ধাপ। ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, ক্রীড়া খাতে বাজেট সীমিত হওয়ায় অবকাঠামো উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পায়নি। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ডিজাইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
আমরা বিদ্যমান স্টেডিয়ামগুলোকে একটি বড় মেগা প্রজেক্টের আওতায় এনে আধুনিকায়নের চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, ভঙ্গুর ক্রীড়া অঙ্গন থেকে আমরা একটি সুষ্ঠু কাঠামোর দিকে এগোতে পেরেছি। ৯০ দশকের ফুটবলের ক্রেজ আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ফুটবলের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও মনোযোগ বেড়েছে।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া ফুটবলের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছেন। চার বছর বন্ধ থাকা জাতীয় স্টেডিয়াম তিনি চালু করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন -খেলাধুলা, বিশেষত ফুটবলকে স্কুল পর্যায় থেকেই ছড়িয়ে দিতে হবে।
আমরা চাই ফুটবলকে শুধু খেলা হিসেবে না দেখে শারীরিক চর্চা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক সম্প্রীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। এই লিগ থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আগামীতে ফুটবলের বাজেটও আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (হ্যাপি), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা নাহার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ উল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী হুমায়ুন রশিদ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।
