মুন্সিগঞ্জ, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মুন্সিগঞ্জে ৩টি আসনই চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণে আবেদন পড়লেও ভোটার/জনসংখ্যার অনুপাতে অসামঞ্জস্য হয়ে পড়ায় ৩ আসন বিশিষ্ট জেলাগুলোর আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে আপিল শুনানি হলেও কাজ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন শিগগিরই গেজেটে প্রকাশ হবে।’
এর আগে সীমানা নির্ধারণে বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই শেষে গত ৩০ জুলাই ৩০০ আসনের খসড়া প্রকাশ করে ইসি। তখন দ্বাদশ সংসদের ২৬১ আসনের সীমানা বহাল রাখা হয় এবং ৩৯ আসনে আনা হয় আংশিক পরিবর্তন। এর মধ্যে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো ও বাগেরহাটে একটি কমানোর প্রস্তাব ছিল।
খসড়া প্রকাশের পর সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি জানাতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। এ সময় পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮৯৩টি আবেদন আসে। এর মধ্যে ৩৩ জেলার ৮৪ আসন সম্পর্কিত ছিল ১ হাজার ১৮৫টি আপত্তি এবং ৭০৮টি সুপারিশ বা পরামর্শ।
ইসি সচিব জানান, প্রাপ্ত আপত্তি ও সুপারিশের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চার দিনব্যাপী। এরপর সেসব পর্যালোচনা শেষে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, আসন বণ্টনের এ পরিবর্তন কার্যকর হবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
২০০৭ সালের আগে মুন্সিগঞ্জের ৬টি উপজেলা নিয়ে ৪টি আসন ছিল। শ্রীনগর-সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন-১, লৌহজং-সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন-২, টংগিবাড়ী-মুন্সিগঞ্জ সদর সংসদীয় আসন-৩ এবং গজারিয়া ও মুন্সিগঞ্জ সদরের বাকি অংশ নিয়ে সংসদীয় আসন-৪ বিদ্যমান ছিল। পরে ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৬টি উপজেলা নিয়ে তিনটি সংসদীয় আসন করে। সেই ব্যবস্থায় পরবর্তী ৩টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।