গাছের সঙ্গে কিশোরী বধূকে বেঁধে রাতভর মারধর
গাছের সঙ্গে কিশোরী বধূকে বেঁধে রাতভর চলে মারধর। এতেও যেন মন ভরেনি স্বামীর। একপর্যায়ে কিশোরীর শাড়ি খুলে তার হাত-পা এবং মুখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর যৌনাঙ্গেও আঘাত করা হয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করলে এক সময় মুখের বাঁধন সরে যায়। এলাকাবাসী ছুটে এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে। স্বামী ময়নুদ্দীনকে (৩৫) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সেপার্দ করা হয়। পৈশাচিক এ ঘটনা ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী গ্রামে। ময়নুদ্দীন ওই গ্রামের ইনছান সরদারের ছেলে। নির্যাতিত ওই কিশোরী ময়নুদ্দীনের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে নির্যাতনের কারণে দুই স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছেন। পাইকগাছা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার জামিলা গ্রামের ওই কিশোরীর (১৩) সঙ্গে এক মাস...
4
গাছের সঙ্গে কিশোরী বধূকে বেঁধে রাতভর চলে মারধর। এতেও যেন মন ভরেনি স্বামীর। একপর্যায়ে কিশোরীর শাড়ি খুলে তার হাত-পা এবং মুখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর যৌনাঙ্গেও আঘাত করা হয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করলে এক সময় মুখের বাঁধন সরে যায়। এলাকাবাসী ছুটে এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে। স্বামী ময়নুদ্দীনকে (৩৫) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সেপার্দ করা হয়।
পৈশাচিক এ ঘটনা ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী গ্রামে। ময়নুদ্দীন ওই গ্রামের ইনছান সরদারের ছেলে। নির্যাতিত ওই কিশোরী ময়নুদ্দীনের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে নির্যাতনের কারণে দুই স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছেন।
পাইকগাছা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার জামিলা গ্রামের ওই কিশোরীর (১৩) সঙ্গে এক মাস আগে ময়নুদ্দীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ময়নুদ্দীন প্রায়ই তার স্ত্রীকে নির্যাতন করত। গত শনিবার ভাত আনতে দেরি হওয়ায় ময়নুদ্দীন কিশোরীকে মারধর করে। রাত ১২টার দিকে তাকে বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে পরনের কাপড় দিয়ে হাত-পা এবং গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে নির্যাতন করে।
কিশোরীর চিৎকার শুনে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যায়। অন্যরা ময়নুদ্দীনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে ময়নুদ্দীন সব কিছুই স্বীকার করেছে। তার কথা শুনে তাকে বিকৃত রুচির একজন মানসিক রোগী মনে হচ্ছে।
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে ১৩ বছরের কিশোরীর বিয়ে কীভাবে হলো, এ প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, ওই কিশোরীর মায়ের অন্য স্থানে বিয়ে হয়েছে। যে কারণে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন নির্মম ঘটনার পরও পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ভিকটিমকে পাইনি। চিকিৎসক বলেছেন, সে সুস্থ হয়ে গেছে। তার বয়স কম নয়, ১৮ বছরের বেশি।


